পাতা:জোড়া পাপী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৬
দারোগার দপ্তর, ২০৪ সংখ্যা।

 একজন বেশ্যা লইয়া তিনি ঐ বাগানে বাস করিতেন। সারদাচরণের দলের সমস্ত লোকই ধৃত হইয়া উপযুক্ত দণ্ডে দণ্ডিত হইল।

 কেশবচন্দ্র পরিশেষে সমস্ত কথা স্বীকার করেন ও কহেন, লোক গঞ্জনায় ও জাতিচ্যুত হওয়ার নিমিত্তই তিনি গাড়ীর ভিতরেই তাঁহার স্ত্রীকে হত্যা করেন ও পরিশেষে চলিত ট্রামের সম্মুখে তাহাকে ফেলিয়া দিয়া, গাড়ী হইতে অবতরণ পূর্বক ভিড়ের ভিতর লুকাইয়া পড়েন। কিন্তু সেইস্থান হইতে পলায়ন করেন না। আমি যখন পাখা পরীক্ষা করি, তিনি দেখিতে পান এবং আমি কোন পথ অবলম্বন করি, তাহাই লক্ষ্য করিতে থাকেন। পরিশেষে আমি যে ট্রেনে চন্দননগরে গমন করি, তিনিও সেই ট্রেনে গমন করিয়া আমার অগ্রেই ষ্টেশন হইতে বাহির হইয়া পড়েন। পরিশেষে কৌশল করিয়া আমাকে সঙ্গে করিয়া লইয়া গিয়া, আমাকে যে উপায়ে হত্যা করিতে প্রবৃত্ত হন, তাহা পাঠকগণ পূর্ব্বেই অবগত হইয়াছেন।

 যথাসময়ে কেশবচন্দ্রের বিচার হয়, বিচারে তিনি চরম দণ্ডে দণ্ডিত হন।

সমাপ্ত।

পর সংখ্যা অর্থাৎ ২০৫ সংখ্যা বর্দ্ধিত আকারে আশ্বিন মাস হইতে বাহির হইবে।