পাতা:জোড়া পাপী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জোড়া পাপী

স্থানে রক্ষা করিলাম। ইন্সপেক্টারবাবুও আমার এই নুতন আবিষ্কারের বিষয় জানিতে পারিলেন না। আমিও তখন সে কথা আয় কাহাকেও বলিতে সাহস করিলাম না।

 আরও কিছুক্ষণ ইন্সপেক্টারবাবু সহিত কথা কহিয়া আমি কোচমানকে বিদায় দিলাম। তাহার মুখেই শুনিয়াছিলাম, গাড়ীখানি হাওড়া স্টেশনের নিকটস্থ হোসেনগালি নামক সর্দারের আস্তাবলে থাকে।

 এখন কি প্রকারে যে এই খুনের আস্কারা করিব, তাহার কিছুই স্থির করিতে পারিলাম না। কিরূপে কাহার দ্বারা রমণী সেই গতিশীল গাড়ী হইতে নিক্ষিপ্ত হইলেন, কে তাহার সঙ্গে ছিল? তিনিই বা কোথায়, কেমন করিয়া পলায়ন করিলেন, এই সকল প্রশ্নের কোনও সদুত্তর করিতে পারিলাম না।

 পাথার উপর যে লোকের নাম লেখা ছিল, রমণীর সহিত তাহার সম্বন্ধ কি? তিনিই কি রমণীকে হত্যা করিবার সংকল্প করিয়া ঐরূপে ফেলিয়া দিয়াছিলেন?

 এইরূপ নানাপ্রকার চিন্তা করিয়া ভাবিলাম, যতক্ষণ না সেই লোকের সন্ধান করিতে পারিতেছি, ততক্ষণ এই খুনের অস্কার। করতে পারিব না। এই স্থির করিয়া আমি ইন্সপেক্টারবাবুর নিকট বিদায় গ্রহণ করিলাম।



তৃতীয় পরিচ্ছেদ।

 আমার হঠাৎ মনে পড়ল,কলিকাতায় যেমন হাটখোলা আছে, ফরাসডাঙ্গা চন্দননগরে সেই প্রকার একটী স্থানকে হাটখোলা