জন্মদিনে “অসীম সাম্রাজ্যের অধীশ্বরের, পুত্ৰ-যাহার প্রথম ক্ৰন্দনে গগন পিরামীডন্স, ওয়েগ্রাম এবং ছিল: ভেদিয়া লক্ষ লক্ষ ২২লোকের আনন্দধ্বনি প্রভৃতি যেসকল প্ৰকাণ্ড সমরে বিজয়-লক্ষ্মী, উখিত হইয়াছিল-আজ তিনি অনাদরে অপ- নেপোলিয়নের অঙ্কশায়িনী হন, প্রথম যুগ " মানে মৃত্যুশয্যায় শয়ান ! পিতৃ-সম্বন্ধিনী অমর সেই সৰু-নিচয়ের কিরণ-মালায় উদ্ভাসিত । তু, গৌরব-রশ্মিমালার ছায়া ভঁাহার মুখমণ্ডলে এবং মস্কাউ, ওয়াটালু ও সেন্ট হেলেনা প্ৰতিবিন্বিত। তিনি তাহার ঔজ্জ্বল্যে অভি, প্রভৃতুি যেসকল স্থল নেপোলিয়ানের অধঃ- | ভূত হইয়া পড়িয়াছিলেন। সেই মৃত্যু- পতনের সাক্ষীভূত, দ্বিতীয় যুগ সেই সকল । কালেণ্ড-গৌরব, সাম্রাজ্য, শ্ৰীষ্ট-লব্ধ মুকুট - স্থলের ভীষণ স্মৃতিতে তমসাচ্ছন্ন। " একটী এই সমস্ত "গভীর চিন্তা অনিবাৰ্য্য বেগে উদ্দীপনাপূর্ণ, অপরটা শোকোদ্দীপক। একটী যুগপৎ তাহার মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে প্রবেশ জীবন-বিষয়ক, অপরটা মৃত্যু-বিষয়ক । ... . করিয়া তাহার নির্বাণোন্মুখ হৃদয়-বাহিকে সহসা যে ব্যক্তিগত চরম মহত্ত্বের নিকট এক=ি { উদ্দীপিত ও পরীক্ষণেই নিৰ্বাপিত করিল। দিন সমস্ত ইউরোপ নতশির হিল, সেই । তাহার অন্তর্নিগুহিত হৃদয়বহিতে কেহই ব্যক্তিগত চরম মহত্ত্বের একমাত্র প্রতিনিধির ; সাত্বনাবারি। প্ৰদান করিল না। প্ৰলাপে- মৃত্যুত্যুে কেন আজি ইউরোপ এত উদাসীন ? দিগরিত তদীয় মুখোচ্চারিত “যুদ্ধ” “যুদ্ধ” শব্দ”|” কেন আজ এই উজ্জ্বল তারকার অন্তধনেকেহই প্ৰতিধ্বনি দ্বারা সম্মানিত করিল না । এই প্ৰকাণ্ড ব্যক্তিগত মইত্বরূপ ভাবের জগৎ অদ্ভুত-প্ৰভুশক্তি-সম্পন্ন মহান পুরুষের সন্ততি হইতে অপুনরাগমনের নিমিত্ত তিরোধানে। এইরূপে অজ্ঞাত ভাবে আনাবলীলা সংবরণ ইউরোপীয় কবিবৃন্দের এরূপ তুর্ষিকীস্তাব ? করিলেন । ব্যক্তিগত মহত্বের চরম দৃষ্টান্তস্থল যে চতুর্দশ এই অদ্ভুত রাজকুমারের জন্ম ও মৃত্যু- লুই, দশম চারালস ও প্ৰথম নেপোলিয়ন । গভীৱ করিত্ব-শক্তির অনুকুল দুইটী প্ৰকাণ্ড প্রভৃতির নিকট আজু দুই শতাব্দীকাল সমস্ত । । । ইউরোপ লুষ্ঠিত-শির ছিল, সেই ব্যক্তিগত অবিশ্ৰান্ত । কাৰ্য্য, অবিশ্ৰান্ত আন্দোলন, মহন্ধের শেষ স্ফুলিঙ্গের নির্বাণে কেন আজি ধারাবাহিক আনন্দ এবং মধ্যাহ সুৰ্যের ইউরোপের এত ঔদাসীন্য ? . . . স্থায় খরতার প্রভুশক্তি ও উজ্জ্বলতর বিজয়- সর্বোৎকৃষ্ট ফরাশি কবি এই প্রকাও পরম্পরায় যে কবিত্ব, প্ৰথম যুগের সেই ঘটনাবিষয়ে দুইটী চরণ ছন্দোবদ্ধ করিতে। কবিত্ব ; আর অস্তগমনোন্মুখ সুৰ্যের ন্যায় পাম্বেন নাই। সম্পাদকেরা এই মৃত্যু গভীর বিষণা এবং নিস্তািন্ধ আভ্যন্তৰীণ চিন্তায় উপলক্ষ করিয়া একটা গুরুতর আন্দোলন • ৰে কবিত্ব দ্বিতীয় যুগের সেই কবিত্ব। উত্থাপিত করিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন। কিন্তু বিশ্বাস ও.বিজয়ে যে কবিত্ব, প্রথম যুগে সেই তাঁহাদিগের রচনায় প্রবল হৃদরোক্ষস বা কবিত্ব • অসীম মহত্বের ধ্বংসে যে কবিত্ব, গভীর শোকের কোনও চিহ্ন দৃষ্ট হইল-ইেলা। দ্বিতীয় যুগে সেই কবিত্ব। একটী বৰ্ত্তমান বরং তঁহাদিগের রচনায় এই বিস্ময়ভােব পরিা
