পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মায়া ও ঈশ্বরধারণার ক্রমবিকাশ । এই প্রশ্নের ত উত্তর দেওয়া যায় না ; ভারতীয় দর্শন ইজ স্বীকার করিতে বাধ্য হইয়াছিল। বেদান্ত সকল প্রকার ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের মধ্যে অধিকতর সাহসের সহিত সত্য অন্বেষণে অগ্রসর হইয়াছেন। বেদান্ত মাঝখানে এক জায়গায় গিয়া তাহার অমুসন্ধান স্থগিত রাখেন নাই, আর র্তাহার পক্ষে অগ্রসর হইবার এক সুবিধাও ছিল। বেদান্তধৰ্ম্মের বিকাশের সময় পুরোহিত-সম্প্রদায় সত্যান্বেষিগণের মুখ বন্ধ করিয়া রাখিতে চেষ্টা করেন নাই। ধৰ্ম্মে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ছিল। তাহাদের সঙ্কীর্ণতা ছিল—সামাজিক প্রণালীতে। এখানে ( ইংলণ্ডে ) সমাজ খুব স্বাধীন। ভারতে সামাজিক বিষয়ে স্বাধীনতা ছিল না, কিন্তু ধৰ্ম্মমতসম্বন্ধে ছিল। এখানে লোকে পোষাক ষেরূপ পক্লক না কেন, কিম্ব যাহা ইচ্ছা করুক না কেন, কেহ কিছু বলে না বা আপত্তি করে না ; কিন্তু চৰ্চে একদিন যাওয়া ' বন্ধ হইলেই, নানা কথা উঠে। সত্য চিন্তার সময় তাহাকে আগে . হাজার বার ভাবিতে হয়, সমাজ কি বলে। অপর পক্ষে, ভারতবর্ষে যদি একজন অপর জাতির হাতে খায়, অমনি সমাজ তাহাকে জাতিচু্যত করিতে অগ্রসর হইয়া থাকে। পূৰ্ব্বপুরুষের যেরূপ পোষাক করিতেন, তাৰ হইতে একটু পৃথকৃরূপ পোষাক করিলেই বস, তাহার সৰ্ব্বনাশ। আমি শুনিয়াছি, প্রথম রেলগাড়ী দেখিতে গিয়াছিল বলিয়। একজন জাতিচু্যত হইয়াছিল। মানিয়া লইলাম, ইহ সত্য নহে, কিন্তু আমাদের সমাজের এই গতি। কিন্তু আবার ধর্মবিষয়ে দেখিতে পাই,-নাস্তিক,জড়বাদী, বৌদ্ধ-সকল রকমের ধৰ্ম্ম, সকল রকমের মত, অদ্ভুত রকমের, ভয়ানক ভয়ানক মত 3 ఏసి ,