পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । লোকে প্রচার করিতেছে, শিক্ষাও পাইতেছে—এমন কি, দেবপূর্ণ মন্দিরের দ্বারদেশে ব্রাহ্মণের জড়বাদিগণকেও দাড়াইয় তাহাদেরই ও মহত্বের পরিচায়কই বটে। বুদ্ধ খুব বৃদ্ধ বয়সে দেহরক্ষা করেন। আমার একজন আমেরিকান বৈজ্ঞানিক বন্ধু বুদ্ধদেবের জীবনচরিত পড়িতে বড় ভালবাসিতেন। তিনি বুদ্ধদেবের মৃত্যুট ভালবাসিতেন না ; কারণ, বুদ্ধদেব ক্রুশে বিদ্ধ হন নাই। কি ভ্ৰমাত্মক ধারণা ! বড় লোক হইতে গেলেই খুন হইত্তে হইবে । ভারতে এরূপ ধারণা প্রচলিত ছিল না। বুদ্ধদেব তাছাদের দেবতা, এমন কি, তাহাদের দেবদেব জগৎশাসনকর্তা পর্য্যন্ত অস্বীকার করিয়া, তাহাদেরই দেশে ভ্রমণ করিতেছিলেন, তথাপি তিনি বৃদ্ধবয়স পৰ্য্যন্ত বাচিয়াছিলেন। তিনি ৮৫ বৎসর বাচিয়াছিলেন, আর তিনি অৰ্দ্ধেক দেশ তাহার ধৰ্ম্মে আনিয়াছিলেন । চাৰ্ব্বাকেরা ভয়ানক ভয়ানক মত প্রচার করিতেন—উনবিংশ শতাব্দীতেও লোকে এরূপ স্পষ্ট খোল খাট জড়বাদ প্রচারে সাহস করে না । এই চাৰ্ব্বাকগণ মন্দিরে মন্দিরে, নগরে নগরে প্রচার করিতেন—ধৰ্ম্ম মিথ্যা, উহা পুরোহিতগণের স্বার্থ চরিতার্থ করিবার উপায় মাত্র, বেদ ভণ্ড ধূৰ্ত্ত নিশাচরদিগের রচনা-ঈশ্বরও নাই, আত্মাও নাই। যদি আত্মা থাকেন, তবে স্ত্রী-পুত্রের প্রণয়াক্কষ্ট হইয়া কেন তিনি ফিরিয়া আসেন না ? তাহাদের এই ধারণ ছিল যে, যদি আত্মা থাকেন, তবে মৃত্যুর পরও র্তাহার ভালবাসা প্রণয় সব থাকে, তিনি ভাল খাইতে, ভাল পরিতে চান। । - >ఇe