পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । কি, তাহ বুঝিতে হইবে। অনেক সময় লোকে বিভিন্ন ধৰ্ম্মসমূহের উপদেশ সম্পূর্ণ বিপরীত বুঝিয় থাকে, আর উহারাও ঐ বিষয়ে বড় স্পষ্ট করিয়া কিছু বলে না। আমাদের হৃদয় ও মস্তিষ্ক উভয়ই আবখক। হৃদয় অবহু খুৰ শ্রেষ্ঠ–হৃদয়ের ভিতর দিয়াই জীবনের উচ্চপথে পরিচালক মহান ভাবসমূহের স্ফুরণ হইয় থাকে। হৃদর শূন্ত কেবল মস্তিষ্ক অপেক্ষ যদি আমার কিছুমাত্র মস্তিষ্ক না থাকে, অথচ একটু হৃদয় থাকে, জাহা আমি শত শত বার পছন্দ করি । যাহার হৃদয় আছে, তাহাঙ্গই জীবন সম্ভব, তাহারই উন্নতি সম্ভব, কিন্তু যাহার কিছুমাত্র হৃদয় নাই, কিন্তু কেবল মস্তিষ্ক, সে শুষ্কতার মরিয়া যায় । কিন্তু ইহাও আমরা জানি যে, যিনি কেবল নিজের হৃদয় দ্বার পরিচালিত হন, তাহাকে অনেক অমুখ ভোগ করিতে হয়, কারণ র্তাহার প্রায়ই ভ্রমে পড়িবার সম্ভাবনা । আমরা চাই—হৃদয় ও মস্তিষ্কের সন্মিলন। আমার বলার ইহা তাৎপৰ্য্য নহে যে, খানিকট হৃদয় ও খানিকটা মস্তিষ্ক লইয়া পরস্পর সামঞ্জস্ত করি, কিন্তু প্রত্যেক ব্যক্তিরই অনন্ত হৃদয় ও ভাব থাকুক এবং তাহার সঙ্গে সঙ্গে অনন্ত পরিমাণ বিচারবুদ্ধিও থাকুক। এই জগতে আমরা যাহা কিছু চাই, তাহার কি কোন সীম আছে ? জগৎ কি অনন্ত নহে ? জগতে অনন্ত পরিমাণ ভাববিকাশের এবং তাহার সঙ্গে সঙ্গে অনন্ত পরিমাণ শিক্ষা ও বিচা রেরও অবকাশ আছে। উহার উভয়েই অনন্ত পরিমাণে আমুকউহার উভয়েই সমান্তরাল রেখার প্রবাহিত হইতে থাকুক। অধিকাংশ ধৰ্ম্মই জগতে যে দুঃখরাশি বিদ্যমান—এ ব্যাপারট ... -- ২৬a