পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাকুর চৈঃ, ১২৮২) আর কোন আশা লুব্ধ হইয়া ইহাতে হস্তক্ষেপ করি নাই।” পল্লিগ্রামে অভিনীত হইবে বলিয়া যে নাটকের বৰ্ত্ত করা, দুই একটা জজ মাজি

সমালোচন ՀՎՖ(I গান করাইয়া পাঠকের এবং গ্রন্থ অভিনয় কালে দর্শকমণ্ডলীর সম্মুখ জন্ম, তাহা সাধারণ পাঠককে না দি- | ষ্ট্রেট সাহেবকে নায়ক দ্বারা বা কোন লেই ভাল হইত। নাটক খালির মধ্যে | উপায়ে জুতা লাঠি পিস্তল মারা, কিম্বা বিশেষ প্রশংসনীয় কিছুই নাই। | ہم؟ প্রাণে বধ করা, একটী বাঙ্গালী "অনুরোধ বাধ্যেই” লোকের সর্বনাশ বালিকা কর্তৃক বহুসংখ্যক গোর হয় । ভরসা করি উমেশ বাবু “পুৰু দলনিকের প্রতি বস্তুক বা পিস্তল বিক্রম" প্রণেতার গৌরব প্রতিদ্বন্দিতায় এ কার্য্যে হস্তক্ষেপ করেন নাই । মহারাষ্ট্র কলঙ্ক । আরঙ্গজেবের সাময়িক প্রকৃত ঘটনা মূলক দুশাকাব্য। স্ত্রীউমেশচন্দ্র গুপ্ত প্রণীত। কলিকাতা ২১ নং বহুবাজার छेौफ़े জি পি রায় এও কোম্পানির যন্ত্রে মুদ্রিত। মূল্য ॥y বীরবালা ও মহারাষ্ট্র কলঙ্ক একই লেখনীর ফল। মহারাষ্ট্র কলঙ্কের । প্রারম্ভে গ্রন্থ সম্বন্ধে একটা কথা । আছে। সে কথাটী আমরা এস্থলে । আমূল - উদ্ধৃত করিয়া দিলাম। “জনৈক বন্ধু আমার বীরবালা હાર, উপন্থার প্রাপ্ত হইয়া আমাকে এক | খানি পত্ৰ লিখিয়াছিলেন, তাছাতে এই কএকটী কথা ছিল, ‘নিৰ্ব্বোধ! ৰুচির দিকে চাহিয়া এখন নাটক লিখিতে হয়, এখনকার ৰচি, নায়ককে ডনকুছকৃসটের মত সাজাইয়া এবং নায়িকাকে হারমণিয়ম বাজাইতে বাজাইতে ছোড়া, এ সকল তোমার বীরবালাতে কিছুই নাই; গতিকেই ইহা মিষ্ট লাগিলেও দুর্গন্ধ-যুক্ত ; আর এক কথা, মাথামুণ্ড তোমার ইতিহাসের প্রতি এত রেখে কেন ? কম্পনাস্থত্রে কি একটা আজগবি গণপ গঁথিতে পার না ? তাহা হইলে তোমার বছি অপেক্ষণরত সমাদৃত হইত, আর তাহ হইলে আমিই উছার সহস্র খণ্ড বিক্রয় করিয়া দিতে পারিতাম, অতএব ভবিষ্যতে আমার কথা রক্ষণ করিও । প্রিয় পাঠক ! আমি তাহারই প্রত্যুওঁর স্বরূপ এই গ্রন্থ খামি লিখিলাম । বন্ধুবর ইহাতেই বুঝিবেন যে, আমি তাহার কথা কতদূর রক্ষা করিলাম।” সভ্য বটে এখনকার পাঠক ও দর্শকের ৰুচির হীনতা জন্মিয়ছে ; সত্য বটে এখনকার দর্শক মণ্ডলী ও রঙ্গ ভূমি বিশেষ নিন্দনীয় । বাঙ্গালী জাতি উত্তেজনা প্রিয় হইয়া উঠিয়াছে—তাহারা উত্তেজক নাটক লিখিতে, পড়িতে ও দেখিতে অনুরাগী। বাঙ্গালীর