পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাঙ্কুর চৈঃ, ১২৮২) যাইতেছে—তজ্জন্য অপরাধী মহে । তবে তাহদের এক অপরাধ এই যে তাহারা মনের কথা খুলিয়া বলিতেছে—বাঙ্গালি পাগল হুইয়াছে । এ পাগলামি নিবারণের চেষ্টা করা সৰ্ব্বথা প্রশংসনীয়। উমেশ বাবু সেরূপ যত্ন করিলে বড়ই ভাল হইত । তিনি তাহ না করিয়| বিদ্রেপ করিয়াছেন । কাজটা ভাল করেন নাই । র্তাহীকে প্রশংসা করিতে পরি না । ৰুচির নিন্দ করিতে গিয়া তিনি স্বীয় ৰুচির দোষ প্রদর্শন করিয়াছেন । শিবজীর ঘোর উদ্যম, অমিত যত্ন ও অসাধারণ অধ্যবসায় বলে যে মহারাষ্ট্র রাজ্য সংস্থাপিত এবং যাহার অভু্যদয় ও প্রতাপে মোগল সিংহাসনকেও সময়ে সময়ে কম্পিত হইতে হইয়াছিল, শস্তুজির বিলাসানু রাগিতা হেতু সেই মহানৃ রাজ্য উচ্ছিন্ন হুইয়া গেল। এই ঘোর শোকাবহ ঘটনা অবলম্বনে সমালোচ্য নাটক খানি লিখিত । এরূপ ঐতিহাসিক বিষয় লইয়া নাটক রচনা করা বড়ই ভাল। উমেশ বাবুর ইতিহাসের প্রতি অনুরাগ বিশেষ প্রশংসার কথা । কিন্তু এ নাটক খানি ভাল ছয় নাই । বিজ্ঞাপন পাঠ করিয়া আশা করিয়াছিলাম বুঝি এক খানি মার্জিত ৰুচির ভাল নাটক পড়িয়া আনগদ লাভ করিব । তাছা হইল না । সমালোচন । さい○今 ইতিহাসের সহিত আধুনিক স্বণই ৰুচির মিশ্রণে মহারাষ্ট্রকলঙ্ক এক অদ্ভুত জিনিস হইয়াছে । এখনকার নাটকে মেয়েরা বিবি রূপে দেখা দেন, তাছার অনেক মাজর্জনা আছে । কিন্তু আরঙ্গ জীবের সমসাময়িক কঙ্কনস্থ রত্নপতি বণিকের কন্যা সুশীলাকে যে উমেশ বাবু বিবি সাজাইয়া বাছির করিয়াছেন, তদপেক্ষ হাস্য জনক বিষয় আর কি হইতে পারে? তিনি হারমনিয়াম বা পিয়ানো বাদন করেন ন সত্য কিন্তু তিনি চিত্র লেখেন, তাহাতে “ সেড" দেন, পত্র লেখেন, প্রণয়ের গান ও পদ্য রচনা করেন এবং প্রণয়ীকে নাম ধরিয়া ডাকেন । এসকল কাৰ্য্য মিস ইলাইজা হেলিংক্রকের শোভা পায় । এ সকল গুলি দোষ কি গুণ তাহা অমর বলিতেছি না । এই মাত্র আমাদের বোধ হয় যে স্বভাবের নিয়ম ক্রমে বাঙ্গালি এই সকল ব্যবহারের অনুরাগী হুইয়া পড়িয়াছে। উমেশ বাবু বাঙ্গালি । হাজার নিন্দাই কৰুন আর যাই বলুন তিনি হাস্যম্পদ হইয়াও স্বাভাবিক ৰুচির পরিচয় না দিয়া থাকিতে পারেন নাই । এখনকার লোক পিস্তল দিয়া গোরা মারা দেখিতে চায় । কিন্তু আরঙ্গজীবের সময়ে তদ্রপ কাৰ্য্য করিলে