পাতা:ঝাঁশির রাণী - জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২
ঝাঁশির রাণী।

বিশেষরূপ প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে, তাহার অধীনে সুচতুর বুদ্ধিমান লোক ও সৈন্য সামন্ত অধিক না থাকায় এবং বিদ্রোহিদল প্রবল হইয়া উঠায়, তিনি ইংরাজদিগকে সমুচিত সাহায্য করতে পারেন নাই। তথাপি, বিদ্রোহীরা দিল্লি অভিমুখে চলিয়া গেলে, নিহত য়ুরোপীয়দিগের শব, তিনি আপনার লোকজনের দ্বারা উঠাইয়া অনিয়| তাহাদিগের রীতিমত সমাধি সৎকার করাইয়াছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডের মধ্যে যে দুই একজন ইংরাজপুরুষ ও স্ত্রীলোেক লুকাইয়া আপনাদিগের প্রাণ বাঁচাইয়াছিল, রাণীঠাকুরাণী তাহাদিগের অনুসন্ধান করিয়া তাহাদিগের জন্য উত্তম ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। ইহাদের মধ্যে মার্টিন নামক এক সাহেব আগ্রাতে এখনও জীবিত আছেন। তিনি, রাণীঠাকুরাণীর দত্তকপুত্র দামোদর রাওকে ২০ আগষ্ট, ১৮৮৯ অব্দে যে পত্র লেখেন, তাহাতে এই কথার স্পষ্ট উল্লেখ আছে। তিনি বলেন:—অপনার মাতা বেচারার প্রতি অত্যন্ত অন্যায় ও নৃশংস ব্যবহার করা হইয়াছে এবং তাঁহার আসল। বৃত্তান্ত আমি যেমন জানি এমন আর কেহই জানে না। ১৮৫৭ অব্দের। জুন মাসে ঝশিনিবাসী য়ুরোপীষদিগের যে হত্যাকাণ্ড হয়, তাহাতে রাণী আদৌ যোগ দেন নাই। তদ্বিপরীতে বরং তিনি, য়ুরোপীয়েরা। কেল্লার মধ্যে যাইবার পরে, দুই দিবস ধরিয়া তাহাদিগের আহারের যোগান দিয়াছিলেন—একশত জন বন্দুকধারী লোক “করার” হইতে আনাইয়া আমাদিগের সাহায্যের জন্য পাঠাইয়াছিলেন। কিন্তু একদিন কেল্লার মধ্যে রাখিয়া, সন্ধ্যার সময়ে তাহাদিগকে বিদায় করিয়া দেওয়া হয়। তৎপরে রাণীঠাকুরাণী, মেজর স্কীন ও কাপ্তেন গর্ডনকে,—“দত্তিয়।” নামক স্থানে পলায়ন করিয়া তত্রস্থ রাজার আশ্রয়ে থাকিতে পরামর্শ দেন, কিন্তু এ কথাতেও তাহারা কর্ণপাত করিলেন না এবং অবশেষে। তঁহারা আপনাদিগের নিজের সৈন্যের দ্বারাই নিহত হইলেন।”

 সুপ্রসিদ্ধ ইতিহাসকার কে-সাহেবও এইরূপ বলেন:—“আমি