পাতা:ঝিলে জঙ্গলে শিকার - কুমুদনাথ চৌধুরী - প্রিয়ম্বদা দেবী.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঝিলে জঙ্গলে শিকার। যায়, মানুষ সে কথা মাতে চারন)। রাতে ব্যথা আরম্ভ হয়ে সারাটা রাত ভাের দুখ দিয়েছিল। পরিণাম স্মৃতিও সুখকর হয়নি। তরুণ বয়সে ম-দাদার নিত্য সঙ্গী হয়ে যখন ঝিলে বিলে দিনের পর দিন হং কারবদর বিচরণ ভূ-িতে অশান্ত উৎসাহে হত্যাকাণ্ডের অভিনয় ঘটিয়ে বেড়াতাম সেই সব দিনের স্মৃতির মধ্যে মাঝে মাঝে ফিরে যেতে ইচ্ছা করে। একদিন আমরা বাড়ী হতে বহুদূর গিয়ে পড়েছিলাম। স্থির ছিল সন্ধ্যার প্রাক্কালে শিরে অাৰ কেননা যে জঙ্গলের পথে আমাদের সওয়ার হয়ে ফিরতে হরে কারি আশে পাশে একটি চিতাবাঘ ভারি উপদ্রব করে ফিরছিল। মাঘের প্রারম্ভ, আকাশ মেৰ লেশ হন, দিনগুলি সূৰ্য্যালােকিত, চমৎকার রমণীয়। দুটি দেশী টাউ, আমাদের বাড়ী নিয়ে আসার জন্য প্রতীক্ষা করছিল। আমি বেল। থাকতেই ডাঙ্গায় উঠেছিলাম, দাদা কিন্তু অনেক দূর গিয়ে পড়েছিলেন। কতকগু ল রঙ! ঠেটি,সাদাগল,সবুজ চূড়া বাধা হাঁসের (tnergenser) পিছু নিয়ে ছিলেন। এ জাতের পাখী এদিকে বড় বিরল। যখন আমার প্রলুব্ধ। চোখের মুখে একজোড়া এই সুন্দর হাঁস সগর্বে দেখাতে দেখাতে বিজয়ীবেশে ফিরলেন তখন সূৰ্য্যদেব পাটে বসেছেন, আলাের স্রোতে ভাটা পড় আকাশ ঘােরাতে হয়ে আসছে। সােয়ার হতে দেরী হল না। আমরা টাটু ছুটিরে চললাম। এক জন শিকারী আর একজন মাঝি দুজনে দুই ঝুড়িতে আমাদের শিকার লব্ধ হাঁসগুলি বয় নি য চল। রাতের অন্ধকার আগবাড়িয়ে ছিল, বনের পথে যেতে যেতে আলোর আর এতটুকু বাকী রইল না। পথ ঘাট গাছ পালা সব যেন কালীর দহে ডুব দিলে। পথে বেশী গাছ পালা ঝােপ ঝাড় ছিল না। বেশীর ভাগ খােলা মাঠ, মাঝে মাঝে ঘন আমবা! এ °থে এলে এমন দিন যেত না যেদিন না দেখতে পেতাম বুনো বরার দল আশে পাশে ধানের ক্ষেতে তাণ্ডব করে ফিরছে। মাঝে মাঝে মুখ তুলে আমাদের দিকে দেখত। টা, দুটো ভয় পেত না আমরাও কিছু মনে করতাম না। আমরা বেশ খুশ মজাজ বাহাল তবিয়তে চলেছিলাম। হঠাৎ আমাদের বাদিকে সমুখে ঘাসের বনে খস্ খস্ শব্দ শুনতে পেলাম। টাটু দুটি আর এক পাও ভুলনা আর থর থর করে কাপতে লাগল, অন্য পথে ছুট দিয়ে পালাতে পারলেই যেন বঁচে। মুহূর্তের জণ্ঠ শব্দ থেমে গিয়ে আবার আরম্ভ হল। যদিও অন্ধকারে বিশেষ কিছু দেখা যাচ্ছিল না, তবুও ঘাসের মধ্যে শব্দের অনুমানে বুঝতে পারলাম একটা বিপুল-বপু জন্তু অন্য পথে চলে গেল। টাট্ট দুটি আমাদের পায়ের ইসারায় আবার চলল। তবে সাবধানের বিনাশ নাই মনে করে আমার বন্দুকে ৫নং এর কার্তুজ ভরে নিলাম। একশ হাত যেতে না হতে আবার সেই ভয়ানক শব্দ হল ! আমাদের বা দিকে, বেশ দূরে নয়, তাই অধিক ভে। চিন্ত অামার শব্দভেদী অস্ত্র ছাড়লাম। ঝােপর মধ্যে খুব একটা হুড়ড় শব্দ হল তারপর জন্তুটা পালিয়ে গেল। আমার টাট্ট, তাে ভয়ে কাপতে কাপতে বসে পড়; টাট্ট, হতে নিজেদের উদ্ধার করে গিয়ে লাগাম ধরে খুব কাছাকাছ হয়ে হেঁটে চান। সমস্ত পথ মটা তারেখা যন্ত্রের মত যেন একেবারে টান হয়ে রইল। সে এক অদ্ভুত ভাব। কেবলি মনে হতে লাগল কে নে আমাদের পাছু ধরে চলেছে, আর তার মালবটা মােটেই ভাল নয়। সে অদৃশ্য শত্ৰু ৰে বাঘ টা পরে জানা গেল। টাট্ট রা তাদের জন্মগত সংস্কারবশ যে বিপদ অনুমান করেছিল তাতে ভুল হয় নি। এদের এ সংস্কার যে কত অভ্রান্ত তার একটা উদাহরণ দিচ্ছি। আমার waler ঘােড়। “ঙ্কর” জীবনে কখনাে বাঘ কি চিতা দেখেনি। শুধু যে সে নিজে দেখেনি তা সর, তার চৗদ্দপুরুষে কষ্ট্রেলিয়া দেশে কেউ কখনাে দেখেনি। তবু যখন একটা মরা-বাঘ E না । ।