। ঝিলে জঙ্গলে শিকার নিয়েছি, যাতে এসবের আবশ্যক হয় না। একটি মাত্র Rifle'এ এই রকম ঝুলিয়ে নিয়ে যায় জি ছিল। একবার ঘন বনের মধ্যে দিয়ে যেতে তার মধ্যে ছােট একটি ডাল ঢুকে এমন সঙ্কট মুহুর্তে, বাধা সৃজন করেছিল যে আমি তার পরে সে ছিদ্রের চিহ্ন মাত্র মাখিনে, ঘষিয়ে একেবারে সমান করে নিয়েছিলাম। বানান করাটা যেমন লেখকের খেয়ালের উপর নির্ভর করে, বন্দুক নিৰ্বাচনও তেমি শিকারীর অভিরুচির উপর নির্ভর করে থাকে। কিন্তু Samo weller’এর নাম বানান করতে হলে যেমন বড় হাতের “w” লেখা ভাল, তেমি হাঁস ওইপ শিকারের সময় তাদের উপযােগী অস্ত্র ব্যবহার কাই উচিত। আধুনিক হাঁস শিকারের বন্দুক একটি বিশেষ আবশ্যকীয় অস্ত্র। আর আজকালকার দিনে বন্দুক নির্মাতারা এই অস্ত্রটি এমন নিপুণ নির্ভুল উপায়ে চমৎকার করে তৈরি করেছেন যে A bore বন্দুক ছুড়তে কঁাধে কিছু আঘাত লাগে না। এ বন্দুক আমি অধিক ব্যবহার করিনি, কেমনা হত্যাকাণ্ডকে আমি শিকার মনে করিনে, কিন্তু বড় গুলি ব্যবহার করলে ১৩০ গজ দূরেও হাঁস এতে নির্ঘাত মারা যায় এ বিষয়ে আমি হলফ করতে রাজী আছি। আমার দৈত্য বাট এখন আলমাইয়ায় আরাম শয়নে বহুকাল ধরে সুখে কাল কাটাতে থাকবে। যতদিন না তুমি তার চেয়ে লম্বায় বেড়ে ওঠ, ততদিন তার ছুটি। এই বন্দুক ব্যবহার করতে গিয়ে আমাকে ধাক্কা খেতে হয় দেখে একজন মাঝি আমি যতবার বন্দুকযুড়লাম ততবারই পিছন হতে আমায় সামলাতে চেষ্টা করায়, গুলি লক্ষ ছেড়ে বহু দূরে গিয়ে পড়ে একেবায়ে সে দিনের শিকার পণ্ড করে দিয়েছিল। মাঝিয় এ অপ্রত্যাশিত খ্ৰীতি ও অনাহুত সহকারিতার ফলে ব্যাপারটির পরিণাম ক্ষতিকর আর রাজন হয়েছিল। এতে মনে পড়ে গেল আর একবার একজন শিকারী বিশেষ একটা সস্কট মুহুর্তে আমার হাত ধরে টেনে কাৰ্য্য পণ্ড করে দিয়েছিল। এক জ্যোৎস্না রাতে আমি আর K. G B বাঘে প্রতীক্ষায় দুজনায় দুই মাচানে বসে ছিলাম। বাঘকে প্রলােভন দেখাবার জন্যে যে টাট্ট, বাধা হয়েছিল একটা মত তালুক ঠিক তারি সম্মুখে এসে দাঁড়াল। ঋক্ষ মহারাজ অশ্বতঃটির কাণের কাছে দু'তিনৰাম হার দিলেন। সে কিন্তু ছাদন দড়ি বাঁধন দড়ির সীমানা ছেড়ে পলায়ন করল না, বরং তাকে ছেড়ে ঠিক আমার সম্মুখে এসে দাড়াল। শিকাৰী আমার ডাহিনে হাঁটুর মধ্যে মাথা গুজে বসেছিল। যদিও আমি আগে হতেই তাকে নড়া চড়া করতে বারণ করে দিয়েছিলাম, তবুও হিংস্র জন্তু শিকায়ের ভীতি কর উত্তেজনার মুখে সে অকস্মাৎ আপনার অজ্ঞাতে আমার হাত ধরে টান দিলে, ফলে লক্ষ্য আমায় ভ্রষ্ট হয়ে হাতের শিকায় ফান, গুলিটা উড়ান্তের মত উধাও হয়ে কোথায় উড়ে চলে গেল। শিকারীটির এই ক্ষিপ্ত ব্যবহারের পর হতে আমি এমন লােকের সান্নিধ্য একেবারে বর্জন করেছি। শিকারের তােড়জোড় সম্বন্ধে প্রত্যেকের “আপরুচি খানা-হিসাবে স্বাধীনতা থাকা ভাল। তােমার ভাল লাগাটা অন্যের উপর জোর করে না চালানই ভাল। পােষাক পরিচ্ছদের আষায় আইকনা তাতে কিছু আসে যায় না, তবে রংটার উপর বিশেষ লক্ষ্য রাখা দরকার। সে হিসাবে আরামের সঙ্গে অদৃশ্য থাকায় অধিক সুবিধা ৰাতে ঘটে সেই সুবর্ণ সুযোেগ কানন ছানাে।
পাতা:ঝিলে জঙ্গলে শিকার - কুমুদনাথ চৌধুরী - প্রিয়ম্বদা দেবী.pdf/১৩২
অবয়ব