শ ঝিলে জলে.শিকার • । উড়ে যায়, ছোট ছােট ছেলে মেয়েরা আমার শিকারের গল্প শুনবার জন্যে ভিড় করে দাঁড়ায়, তখন সে গল্প করতে, আমি আমার মনে যে গৌরব অনুভব করি, তা কারাে কারাে কাছে হাত ছেলেমাবি বলে বােব হতে পারে ! তা হক। সেই পুরাণ গল্পই আমি আজ আবার তোমাদের নুতন করে বলছি। | কলিকাতা, ২০শে আগষ্ট ১৯১ খৃঃ। মেহের অলকা কাণ, শিকারের কাজে ব্যাঘ্রবীরকেই সন্মানে প্রথম পদ দেওয়া উচিত। তিনিই এ রাজ্যের অধিনায়ক। যদিও এ রাজকীয় জাতির মংখ্যা তত অধিক নয়, তবুও আমাদের বিশাল অরণ্য প্রবেশ সকলে তাদের নির্বংশ হবার সম্ভাবনা খুবই কম। অনেকে মনে করেন শাপদ জাতিয় বংশক্ষয়ের জন্যে শিকারীরাই বিশেষরূপে দায়ী। এ কথা আফ্রিকা আর আমেৰিকাৰ সম্বন্ধে হয়ত বা সত্য। চতুষ্পদ রাজ্যের সাধারণ প্রজাবর্গের যেমন হরিণ মহিষের সংখ্য। আমাদের দেশে এতই হ্রাস হয়ে গিয়েছে যে সেটা একটা ভাবনায়ই বিষয় সন্দেহ নাই। যে ব্যক্তি মৃগয়ার নিয়ম মেনে চলে, আর যথার্থ যার এ সম্বন্ধে অনুরাগ আছে,সে কখনও নির্বিকারে জীবহত্যা করে না । যাদের সঙ্গে শত্রুতাচরণ করে, তারা প্রায়ই প্রলয় জোয়ান। আর যাতে অধিক সংখ্য মৃত্যুমুখে পতিত হয় সে বিষয়েও দৃষ্টি রাখে। কিন্তু শিকার যাদের ব্যবসায় আর জীবিকা উপার্জনের উপায় তারাই কোন নিয়ম গ্রাহ্য করে না; জীবহত্যাকাণ্ডে সংখ্যানিয়মিত করবার চেষ্টা তাদের আদৌ নাই। এই অত্যাচার সহিত করবার জন্যে অনেক বিধি বিধান প্রচলিত হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে আরও সতর্ক সাবধান হওয়া আবশ্যক। তা না হলে আমরা যে সকল দৃশ্য আর যে আনন্দ উপভোগ করে গেলাম, আমাদের বংশধরদের ভাগ্যে আর তা ঘটবে না। বহু বৎসর পূর্বে কটক জিলায়,এখনও তার ব্যতিক্রম হয়নি,-এক একটা শিকার যাত্রায় তিন শত অনুচর সহযাত্রী হত ! এর মধ্যে আবার অনেকে সেকেলে ধরণের বন্দুক ঘাড়ে আসত। দিনের শেষে আমরা যখন এম্বুতে ফিরতাম তখন এই অনুচরগণ সবাই প্রাণ নিয়ে ফিরে এসেছে দেখলে আমরা আপনাদের ভাগ্যবান বলে জান করতাম। এরা এক এক জন ত্রিশ ত্রিশ গজ তফাতে বন্দুক ঘাড়ে জঙ্গল ঘিরে খাড়া হয়ে যেত। যে হভভাগাৱা উত্তরাধিকার স্বৰে কিম্বা পয়সার জোরে এমন সব দানব অস্ত্র সংগ্রহ করতে পারেনি, তারা গিয়ে পাহাড়ের মাথার উপর চড়ত, আর সেখান হতে মহাদেবের ভূতপ্রেতের মত অমায়িক শব্দ করে, ঢিল পাটকেল বড় পাথরের চাঙড় ছুড়ে গড়িয়ে শিকার যেদিয়ে এক জায়গায় জড় করবার চেষ্টা করত। কিন্তু চেষ্টার ফল কিছুই হতনা। ময়ূর, চিকারা হরিণ, শূকরছানা, সজারু, সুই পাশ দিয়ে যানা কেন, অম্নি এরা সেই সেকেলে বন্দুকগুলে ছুডুত। যদিও বেশী,কোন বিপদ ঘটতে আমি এ পর্যন্ত দেখিনি,সে কিন্তু তাদের পূর্বপুরুয়ের পুণ্যের জোৱে। ময়ূতে মত অনেকে কোনমশে, বেটে এসেছে। তবে বিশ্বস্তসূত্রে জেনেছি যে এ অস্থায় বিপদ ঘটাই নিয়ম, আর ঘরের ছেলে নিরাপদে ঘরে ফিরে আসাটাই হচ্ছে ব্যতিক্রম। দেশ,বােঝা যায়, এই সত্ব বুনো লােক, যাৱা জলে “অন্ধি সন্ধি খুৰ ভাল করেই জানে, তারা যে সময়ে নির্বিচারে অনেক জীবহত্যা করে, সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। এই কারণেই ভারতবর্ষের অরণ্যপ্রদেশে আরণ্য জত্তম সংখ্যা দিন দিন হ্রাস হয়ে যাচ্ছে। যে প্রধান শিকারী আমার মৃগয়া ব্যাপারে সাহায্য করৰার জয়ে নিরু হয়েছিল, সেও . TH
পাতা:ঝিলে জঙ্গলে শিকার - কুমুদনাথ চৌধুরী - প্রিয়ম্বদা দেবী.pdf/১৬
অবয়ব