পাতা:ঝিলে জঙ্গলে শিকার - কুমুদনাথ চৌধুরী - প্রিয়ম্বদা দেবী.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮ ঝিলে জঙ্গলে শিকার - - - . এই রকম হাতীর উপর বসে শিকার করতে গেলে একটা বিষয়ে তােমাদের বিশেষ করে সাবধান হতে হবে। যে মুহূর্তে বনের মধ্যে প্রবেশ করবে আর যতক্ষণ না বনের বাহিরে আসবে ততক্ষণ কিছুতেই নিজের বন্দুকটি হাত ছাড়া করবে না। তা সে যতই ভারী হােক না কেন। হঠাৎ পথে কখন কার সঙ্গে সাক্ষাতের সৌভাগ্য ঘটবে বলা কঠিন। বিপদ যে এসে দেখা দিয়ে যাবে না এ কথা কে বলতে পারে ? শিকারের খোঁজে বেরুতে হলে আগে হতে সাবধান হওয়াই ভাল। জান ত কথায় বলে “সাবধানে বিনাশ নাই”। আর তা ছাড়া নিজের বন্দুকটির সঙ্গে পরিচয় যত ঘনিষ্ট হয় ততই ভাল। তাকে যখন তখন কঁাধে পিঠে করে বেড়ালে তার সঙ্গে এমি বন্ধুত্ব জম্মায় যে বিপ:দর মুখে সে নিশ্চয়ই সহায় হয়ে দাড়ায়, আর অনায়াসে তার সাহায্যে শত্রু বিনাশ হয়ই হয়। যারা ক্রিকেট, হকি, টেনিস খেলে তারাও জানে ব্যাটের সঙ্গে ভাব রাখলে সময়ে কাজ দেখে। | 1h.--একবায় জঙ্গলে মাচান বা ঠিক মত হচ্ছে কি না দেখতে গিয়েছিলো। আমি বার বার বলা সত্ত্বেও বন্দুকটা নিলেন ন', রেখে গেলেন। একটা সরু নালা পার হয়ে যাচ্ছিলেন। তার দুধারে খাড়াই পাড়, ঝােপঝাড়ে একেবারে ঢাকা। বেশী দূর যেতে না যেতেই একটা মস্ত বাঘ একেবারে কাণের কাছ দিয়ে লাফিয়ে পড়ে গজেন্দ্রগমনে চলে গেল ! IPh.-হেঁটে যাচ্ছিলেন। তাঁর পায়ের শব্দ কিম্বা পাথর গড়িয়ে পড়বার শব্দে সে চমকে উঠে থমকে পালিয়ে গেল। উভয় পক্ষেই কি সুযােগ হারালে বল দেখি । Ph.-কে তোমাদের মনে আছে ত? Bisley আর অন্যত্র কত প্ৰাহজ আর মেডাল সে পেয়ে ছল! শেষ কালে একটা জ্বলন্ত বাড়ী হতে বসন্তরােগী ছােট্ট একটা মেয়েকে উদ্ধার করতে গিয়ে সেই রাগে বেচারী দু’চা: দিনের মধ্যে নিজেই মারা গেল। সেই জঙ্গই আমি একদিন চলে গেজে বহু দূর বিস্তৃই ঘন বনের মধ্যে গম পড়ছি। পেকে থক রূ:ে1 কর্কশ কক কান ফি কপােতের মৃঃ ১, ৮ ছাড়া আর কিছুতে চ,দ, কর ? ৩। স্তব্ধত ভঙ্গ হলি • : মায়ে অণ্যসুলভ ' এক অপচ 3 শ্রুতপূর্ব শব্দ কাণে মহিণ। কোথা ।কধা কে। কিছু শো »। যায় না। এই বির " শব্দগুলিই যেন তিব্ধতাকে আরো গভীরতর ও অস্বস্তিকর করে তােলে। কখনাে কোন মৃত্তিকা স্তুপ ডিঙিয়ে, শুকনো গাছের গুড়ি এড়িয়ে বেলই এগিয়ে চলেছি। একবার মনেও হয়নি কোন কিছু আমার সম্মুখে হঠাৎ এসে পড়বে। কিন্তু তবু চোখ যাদু ও কিছু দেখতে কি কাণ কিছু শুনতে পায়নি হঠাৎ আমি বুঝতে পারলাম কি একটা যেন আছে। তার পর চোখ খুলেই দেখলাম প্রায় চলিশ হাত দূরে একটা প্রকাণ্ড হাতী। কুলার মত কাণ দুটো খাড়া করে শুড় গুটিয়ে তুলে সােজ। অামার দিকে চেয়ে দাড়িয়ে আছে। বিচার বিবেচনার সময় আর তখন ছিল না। আমি তাড়াতাড়ি একট; ঘন বাঁশঝড়ের মধ্যে লুকিয়ে পলাম। য, অমার পিছু পিছু আসবার কোন পায়ের শব্দ আমি শুনতে পাইনি, তবুও সেদিকে কি ঘটছে দেখবার জন্তে আস্তে আস্তে মুখ ফেরাশন-দেখলাম পর্বত প্রমাণ একটা হতিন. শুড় তুলে হুঙ্কার করতে করুতে দ্রুত অন্তধন হল! গগেমনে ময়! যদি আমি অর দু’চার হাত এগিয়ে যেতাম, বাশঝাড়ের আড়ালে আশ্রয় না নিতাম, তাহলে কিযে ঘটত সে সম্বন্ধে অধিক না ভাবা আর না বলাই ভাল। আমার হাতে শুধু 2 bore Nitro Paradox ছিল। আর তাের ৩ জান হাতী মস্ত বড় জানােয়ার হলেও কেমন অনায়াসে অতি অল্প পরিসর ।