প্রথম প্রসঙ্গ ృరి, মিঃ ক্লেক বলিলেন, “তাহা বুঝিতে পারিলে আমরা তাহার কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করিতে পারিতাম। তাহার পত্র পাঠ করিয়া তাহার ভবিষ্যৎ কার্যা-প্রণালী বুঝিবার উপায় নাই । সে কি কৌশল অবলম্বন করিবে তাহ অকুমান করা অসাধ্য ।” হনস্পেক্টর কুটুস বলিলেন, “কে একজন ফন্দীবাজ ব্যবসাদার সাইনসের নাম ব্যবহার করিয়া ব্যবসায়ে দাও মারিবার চেষ্টা করিতেছে — রাশি রাশি প্ল্যাকার্ড ছাপিয় তাহাতে লিখিয়াছে—“তুমি কি পল সাইলস্ ?”—এ যে কি রকম ৰাবলদারী ফন্দী তষ্ঠা আমি ঠাহর করিতে পারিতেছি না !” হনস্পেক্টর কুটুসের কথা শুনিয়া মিঃ ব্লেক সবিস্ময়ে তাহার মুখের দিকে চাছিলেন, অবিশ্বাস ভরে বলিলেন, “তুমি কি বলিলে ? তোমার কথা আমি বুঝিতে পরিলাম না !” কুটুল বলিলেন, “তোমার এখানে আসিতে আলিতে অক্সফোর্ড সার্কাসের কাছে একথান প্ল্যাকার্ড দেখিলাম ; দু’শো লোক পথে দাড়াইয়া হা করিয়া সেই প্ল্যাকার্ডের দিকে চাহিয়া ছিল । তাঁহাতে মোট মোট হরফে লেখা আছে —“তুমি কি পল সাইনস্ ?” স্মিথ বলল, “ই, এ নূতন রকম বিজ্ঞাপন ৰটে! বোধ হয় আগামী সপ্তাহে ঐস্থানে বিজ্ঞাপন দেওয়া হইবে—“যদি তুমি পল সাইনস না হও, তাহা হইলে আমাদের ‘সিংহ-বিক্রম সালসা খাও—তাহার ন্যায় বিক্রমশালী হুইবে ।” মি: ব্লেক বলিলেন, “বিজ্ঞাপনে আর কোনও কথা দেখিলে নী? কোন্ জিনিসের বিজ্ঞাপন তাঙ্গা বুঝিতে পার নাই ?” ইনস্পেক্টর কুটুল বললেন, “ন, তাগ বুঝিবার উপায় নাই। কে পল সাইনস তাঙ্কাই যাচাই করিবার বিজ্ঞাপন —অদ্ভুত বটে !” মিঃ ব্লেক বলিলেন, “বিজ্ঞাপনের নীচে বিজ্ঞাপনদাতার নাম থাক। ত উচিত। প্ল্যাকার্ডখানি দেখিবার জন্ত আমার আগ্রহ হুইয়াছে । তুমি একটু অপেক্ষা কর, আমি পোষাকটা বদলাইয়া আসি-তোমার সঙ্গে অক্সফোর্ড সার্কাসে গিয়া এই অপরূপ বিজ্ঞাপন দেখিয়া আসিব ।”
