পাতা:টমাস বাটার আত্মজীবনী - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 छैबान बाह्रैान्न आपाखौंबनौं মজরদের সাহায্যে তারা আমাদের হারিয়ে দিলে। কারণ এই দলের মলমন্ত্র ছিল, “বাটার বিরদ্ধে যক্ষদ্ধ কর।” তারপর তারা দেখলে বাটার বিরুদ্ধে দাঁড়ালেই নির্বাচনে জয়লাভ সহজ ও সনাম। আমাদের কারখানা ও ব্যবসায়ের বিরদ্ধে তারা শত রকমের অপপ্রচার আরম্ভ করে দিলে। আমি তোমাদের কাছে কি চাই ? এই রাজনৈতিক দলকে অপসারিত করে তোমরা নিজেদের লোক পাঠাও মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলে। আমাদের সহরের পক্ষে এই সব শঠতা ও দলাদলি অত্যন্ত कठिकद्र। সহর কোন আইন করচে না, শধর ন্যায্য ও অন্যান্য ভাবে টাকা খরচ করে চলেচে। গত চার বৎসর আমাদের সহরে টাকা খরচ হয়েচে এই ভাবে, “যতই খরচ হ’ক, বাটা দেবে।” কিন্তু আমি যা দিই, আমার শ্রমিকেরা তা আসলে দেয়। অন্য ভাবে; টাকাটা তাদের পকেট থেকেই খরচ হয়। আমি অর্থ চাই না, সম্পপত্তি বাড়াতে চাই না - যা আমার আছে, তারই পরিচালন-ভার গ্রহণ করেই আমি সন্তুষ্ট। আমার ও আমার পরিবারের জন্য যা খরচ হয়, তা একজন শ্রমিকের চেয়ে বেশি নয়। জনসেবায় আমি আমার সম্পত্তি বায় করতে চাই । বাটার টাকা হ’ক, তাও ন্যায্যভাবে বায় করার দিকে আপনাদের দন্টি রাখা দরকার। ৬০ লক্ষ মাদ্রা বায়ে টাউন হল তৈরি করতে কে চান আপনাদের মধ্যে ? অনেক সামান্য খরচে টাউন হল নির্মাণ করলেই কাজ চলে যেতে পারে। বাকি টাকা অধিকতর হিতকর কাযে ব্যয়িত হ’ক, আমার এই ইচছা । কয়েক সহস্র মাদ্রা ব্যয়ে স্টেশনের রাস্তা মেরামত করে নিলে চার বৎসর ভালভাবে চলে যাবে। স্কুল, হাসপাতাল আরও অনেক হিতকর প্রতিস্ঠান ঐ টাকায় নিমিত হতে পারে। ভোটের তালিকায় ঠিকমত লোকের নাম দাও ! পরাজয়ের ভয় কোরো না ! জিলনের প্রত্যেক লোক জানে ব্যবসায় তাদের কি উপকার করচে এবং সহরের অধিবাসিগণের অৰ্থ ন্যায্যভাবে খরচ করার অথর্ব কি। যদি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ঝগড়া-দ্বন্দ্বের অবসান ঘটে, যদি আমরা মিতব্যয়ী হতে পারি, তবে আমাদের সহরে এমন শান্তি ও শওখলা আসবে, যা আমাদের সমগ্র সেন্টটের আদশ স্থানীয় হয়ে থাকবে চিরদিন। ৰন্ধগণ! টমাস বাটার শত্রদল তাঁর বিরদ্ধে বিদ্বেষপ্রসন্ত অপপ্রচার করতে কুণ্ঠিত হয় নি। যে টাউনহল বাটীর শ্রমলব্ধ অর্থে নিমিত, তার প্রাচীরগাত্রে তারা প্রচারপত্র টাঙিয়ে দিলে। তাতে লেখা ছিল, যন্ধের সময় বাটা তাঁর কারখানাকে শ্রমিকদের কারাগারে পরিণত করেছিলেন। বাটীর হাতে এই কাগজ পড়তে তিনি এত উত্তেজিত হয়ে উঠলেন যে কাগজখানার ওপরে কলমের বাঁট দিয়ে লিখলেন--- "মিথ্যা কথা! ধিক !" তখনি তিনি সহরের খোলা ময়দানে নাগরিকদের এক সভা আহবান করে নিম্নলিখিত বস্তৃতা দেন। তোমাদের মধ্যে অধিকাংশ ব্যক্তি আমার কারখানার শ্রমিক, আমার আহবানে তোমরা সত্য প্রচার করবার জন্যে সমবেত হয়েচ। গত যন্ধে যে সব শ্রমিক আমাদের নিকট উপকৃত, তারা একদিন বলেছিল, ‘আপনাকে আমাদের প্রগতি জানাই।”