পাতা:টমাস বাটার আত্মজীবনী - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SOO छैमाना वाक्केब्र आफ्ब्रजगैबनौं এ-খাদ্য তার শরীরের পক্ষে প্রয়োজনীয়, কারণ এতে মস্তিক্ষেকের শক্তি বন্ধি হয় । এই খাদ্য কৃষকেরা সহজেই উৎপাদন করতে পারে, এর জন্যে বেশি পরিশ্রম আবশ্যক হয় না। গর-বাছার বছরের অধিকাংশ সময় নিজেরাই খেয়ে বেড়ায়-দািধ দোয়াও কলে হয়। কল সম্পবন্ধেও তাই--এর জন্যে মস্তিঙ্কের খাব বেশি প্রয়োজন হয় না। এমন দ্রব্য উৎপাদন কর, যা লোকে পছন্দ করে এবং যে কোন দামে কিনতে রাজি। জিনিসের ভান্স বাজার আছে, সে জন্যে ভয় ক’রো না। যাতে জিলন, সহরের প্রত্যেক অধিবাসী ও আমার কারখানার প্রত্যেক শ্রমিক যথেস্ট দধি খেতে পায়, যাতে তারা দধি দিয়ে কফি না খেয়ে দধের মাটা দিয়ে কফি খেতে পায় -- এরকম ব্যবস্থা শীঘ্রই হবে। আমাদের শ্রমিকেরা যাতে ব্রেকফাস্টের সময় ফল, ডিম খেতে পায়, যাতে আমাদের ছেলেমেয়েরা যথেষ্ট মাখন ও জ্যাম মাখিয়ে রাটির টুকরো খেতে পায় - এ ব্যবস্থাও আমরা করতে চাই। ত্ৰিশবছর পাবে আমাদের সহরে কৃষিজাত দ্রব্য বিক্ৰী হ’ত না, কারণ বাড়ির খাবারের জন্যে সবাই বাড়িতে এসব জিনিসের চাষ করতো। কলকারখানা খোলবার সঙ্গে সঙ্গে অদভুত পরিবর্তন সাধিত হয়েচে। কৃষিজাত দ্রব্য যাতে টাটকা অবস্থায় সহরের বাজারে আসে, এবং প্রচুব পরিমাণে আসে, সেদিকে নজর রাখতে হবে। দধি, মাংস, শাক-সব্জি, ফল প্রভৃতি বহােদর থেকে এলে নষ্ট হয়ে যায়। কৃষকেরা ভাবতে পারে কলকারখানার অবস্থা যদি খারাপ হয়ে পড়ে ? হয়তো এরকম সময় আসতে পারে—তবে আপাতত তার কোন লক্ষণ দেখা যায় না। পথিবীময় কলকারখানার উন্নতিই দষ্ট হয়, কলকারখানার সবণ যােগ আসচে সামনে। তার লক্ষণ এখন থেকেই দেখা গিয়েচে । অতএব নিভয়ে কৃষিকাযে মন দাও। শিল্প-বাণিজ্যের উন্নতির সঙ্গে নতুন ধরণের লোক দেখা দেবে-তাদের অভাব পণ করবার জন্যে তৈরি হও । नवकब्र फिन्डाब्र अथ এই জেলা আমীদের জাতোর কারখানা খোলাতে বিস্ময়ান্বিত হয়েছিল, কারণ তার আগে এ অঞ্চলে কৃষিকায ছাড়া আর কিছু করতো না। জমি কিনে বদ্ধ বয়সের অন্নসংস্থান করে রাখতো। তাদের বিশ্ববাস ছিল জীবিকা নিবাহের নিরাপদ উপায় কৃষিকাৰ্য। তারা বঝতে পারতো না যে শিল্পবাণিজ্যের দিকে মনোযোগ না দেওয়াতে তাদের ভবিষ্যৎ উন্নতির পথ অবরাদ্ধ হয়ে যাচ্চে। মানষের দঃখ দাির করতে পারে শিল্প-বাণিজ্য, এর সত্যতা উপলব্ধি না করলে দেশের মঙ্গল কোথায় ? শিল্প-বাণিজ্যের উন্নতির জন্যে চাই নবতর চিন্তাপ্রণালী। আমাদের দেশে শিল্পের উন্নতি হওয়ার পাবে এ অঞ্চলের অধিবাসিগণের মনোভাব ও চিন্তাপ্রণালীর আমলে পরিবর্তন আবশ্যক। এ থেকে যে অর্থাগম হবে, তা যেন জমি কেনার কাজে ব্যয় না হয়ে শিল্প-বাণিজ্যের জ্ঞান সৎগুয়ো ব্যয়িত হয়। তরণ দলকে তৈরি করে তুলতে হবে - কলকারখানার কাজে। কৃষকের কাছে জমির যে মালা, ব্যবসায়ী ও কলকারখানার মালিকের কাছে ব্যবহারিক জ্ঞান ও যোগ্যতার সেই মাল্য। অতএব সঞ্চিত আথে জমি ক্রয় না করে আমাদের দেশের লোক যদি ব্যবহারিক জ্ঞান অজনে ব্যয় করে, তবেই দেশের মঙ্গল। জমির দাম ক্ৰমে বেড়ে যাবে, সতরাং জমি যে কিনবে, তার এতে লাভের অপেক্ষা ক্ষতির পরিমাণই হবে বেশি।