পাতা:টমাস বাটার আত্মজীবনী - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8O हैत्रान् बाबा जाचकाौवभौ মােজরির হার সাড়ে, কমের নব নব প্ৰণালী আবিস্কৃত হয়, জিনিসের দাম কমে, স্টেটের অর্থব্যয়শান্তি বাড়ে । সেদিন একজন ব্যাঙ্কের ডিরেক্টর দঃখ করে বলেছিলেন, টাকা যথেষ্টই আছে, কিন্তু এমন কোন বিশবাসী লোক পাওয়া যায় না, যাকে বিশদ্বাস করে ১০,০০০ ফ্রাউন ধার দেওয়া চলে। তাঁদের প্রধান কতব্য হচ্চে এমন লোক খাঞ্জে করি করা। দোষ কার? আমাদের সবারই। উকিলদের দোষ তারা তাসাধ্যতাব প্রশ্ৰয় দেয়, আমাদের সমাজের দোষ, যে আজ টাকা শোধ করবো বলে কাল দেয, তার দোষ। চিঠি-পত্রে লেখা ( ১৯৩২ সালে প্রদত্ত বস্তৃত্যু ) বাট চাইতেন, তাঁর সহকমি গণ তাঁর সব কথা বুঝতে যেন অক্ষম না হয়। ব্যবসায়ের সনাম সুরক্ষা তলি জীবনের সব চেযে বড় উদ্দেশ্য ছিল। তিনি চেন্সটা পেতেন যাঁরা তাঁর সংশ্রবে। আসবে বা যাঁরা তাঁর কারখানায় বতর্মান বা ভূতপর্ব শ্রমিক --সকলেই দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন হয়ে ওঠে। লিপি লিখন মানে শােধ চিঠি লেখা নয। --ব্যবসা, স্টেটের কাজ ইত্যাদিল ব্যবস্থা কলা। চিঠিতে যেন পরিস্কারভাবে সব মাথার উল্লেখ থাকে। চিঠিপত্রে জগতেব সঙ্গে আমাদের যোগসন্ত্র সংস্থাপিত হয। চিঠি wধারা তােমাদিগকে সবাই চিনতে পারে। আমাদের নীতি হওয়া উচিত, কারো কাছে আমরা ঋণী থাকবো না। হঠাৎ একখানা চিঠি এল, আমােক বছরের দেনাটা শোধ করা। তখনই আমাদের নীতির মলে কুঠাবাঘাত পড়লো, একথা যেন আমবা সমরণ করি। অনেকে চিঠিপত্র লেখেন বটে, কিন্তু পাওনােদর যদি টাকা চেযে পাঠায, তবে নীবাব থাকেন। এটি লঙ্গিজার কথা । যে পাওনাদরে ধায়ের কথা মনে করিয়ে দেয়, তাদের ধন্যবাদ দিয়ে তখনি টাকা পধিশোধ কবে দেওয়া আমাদের কতব্য। সব চিঠিপত্র মোটামটি দই শ্রেণীতে বিভক্ত-“জমা’ ও ‘খরচ’। যারা আমাদের কাছে টাকা চায়, নিশ্চয়ই তাদের প্রমাণ আছে যে আমরা তাদের কাছে ধারি-খড়ির টুকরো দিযে যদি দোরের গায়ে সে দেনার কথা লেখা থাকে, তবও সেটা দেনা। দ’বার যেন দেনা চেযে না পাঠায় কেউ । চিঠি পড়ে তখন তার দেনাশোধের ব্যবস্থা করে ফেলবে। চিঠিপত্রে দায়িত্ব এড়াবার চেষ্টা না করে সপটেণ্ডাবে সব কথার উল্লেখ করবে। ১৯o৭ সালে আমি কারখানার কলকব্জা নিয়ে থাকতাম। আপিস দেখতাম না।--ফলে ঘোর শি, ওখলাৰ সন্টি হ’ল আপিসে। যখন আমার দটি পড়লো সেদিকে, আপিসের অধোক কেরাণীকে ডিসমিস করলাম-বাকী অর্ধেক নিজেদের অপমানিত বিবেচনা করে আমার কাজ ছেড়ে দিলে। দিনে কারখানায় খাটি, প্রায় সন্ধ্যা পষতি। রাত জেগে আপিসের চিঠিপত্রের জবাব দিই। চিঠিপত্র লেখা হ’ত জামান ভাষায় -কিন্তু তখন আমি জামান জানি না। সতরাং পত্রে শািন্ধ সংক্ষেপে “হাঁ’ কি “না” লিখতাম। বেশি লেখার সময়ও ছিল না। নিজেদের দেনা শোধ করা! যে কোন দেশের যে কোন ব্যবসায়ী চিঠিপত্রের এ উত্তর বকতে পারবে। তাদের দেনা শোধ দাও। চিঠিপত্রের এর চেয়ে সদত্তঃ কি আছে ?