পাতা:টমাস বাটার আত্মজীবনী - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छैबान वाक्कैन्न आषाजगैबनौं S(t উক্ত ফামের পাওনাদারদের কাছে আমাকে এই মমে লিখে দিতে হ’ল যে, আমার প্রতারিত ভ্ৰাতার প্রদত্ত হ্যান্ডনেট আমি অগ্রাহ্য করব না, তবে ঐ বিলের টাকার অন্তক আমার ক্ষমাদ্র ফামোিন পজির অঙ্ক অপেক্ষা অনেক বেশি। ভগবানের ইচ্ছায় এ নতুন বিপদও কাটিয়ে উঠলাম। প্রথমবারের বিপদ অপেক্ষাও এ বিপদে টাকার অঙ্ক অনেক বেশি ছিল একথা সত্য বটে, কিন্তু আৰ্থিক পাঁজির চেয়েও মহত্তর ষে নৈতিক পজি, অর্থাৎ কমে দঢ়তা, মহাজন ও খরিদ্দারের সদিচ্ছা এবং আমার কারখানার মজরদের প্রভুভক্তি প্রভৃতি আমাকে নিরাপদে কুলে পৌছিয়ে দিলে। ভগবানকে অজস্র ধন্যবাদ। আমাদের পরিবারে একটি নৈতিক দীঘটনা ঘটলে এর পরেই। বাবার ফাম দেউলে হয়ে গেল। তাঁর ব্যবসা বাঁচাতে পারলাম না বটে, তবে অনেক পরে আমি তাঁর পাওনাদারদের প্রাপ্য বঝিয়ে দিতে সমর্থ হয়েছিলাম। মতের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় একদিন আমি দেখলাম ভিয়েনা সহরের একটি নামজাদা ফ্যামের কাছে মাল সরবরাহের যে চুক্তিতে আবদ্ধ আছি, তদনযায়ী মাল সরবরাহ করা অসম্ভব। চন্তি অনযায়ী আমি তাদের চামড়ার সোলওয়ালা ক্যানভাসের জাতো সরবরাহ করতে বাধ্য ছিলাম, সে ধরণের জন্তো আমাদের অঞ্চলে তখনও কিন্তু কোন কারখানাতেই তৈরি হ’ত না। ভেবেছিলাম। আমার স্বল্প অবকাশে কারখানার মজরদের শিখিয়ে দেব এধরণের জন্তো তৈরি করতে। কিন্তু অতখানি শিক্ষকতার শক্তি আমার মধ্যে যে নেই, সেটাই আমি বঝি নি। আমার সানাম পােনরায। যায় যায় হয়ে উঠল—এবার বিপদ আরও বেশি, খারিন্দারকে চুক্তিমত মাল সরবরাহ করতে না পারা যে কোন ফামের পক্ষেই অপযশোর কারণ। অসম্ভব কোন ঘটনা ব্যতীত এবার উদ্ধারের উপায় ছিল না। অবশেষে কি যন্ত্রের শরণাপন্ন হতে হবে। আমাকে ? টলসটয়ের রচনাবলী আমাকে এ সময় সরল, অনাড়ম্বর জীবনযাপণে অন্যপ্রাণিত করে দিল। আমার প্রতিবেশী ব্যবসাযিগণ এ সময় যন্ত্রের মহিমা কীন্তন করে যেত, যেমন অসিস্ট্রয়ান সেনাপতিরা বিজয়গবে যাদ্ধজয়ের গলপ করে । জতো তৈরির একটা অত্যন্ত শস্ত অংশ ছিল জাতোর তলার দিকে আবশ্যকমত চামড়া কেটে নেওয়া। আমি একটা দপতরীর কাগজ-ছাঁটাইয়ের কােল কিনবার মনস্থ করলাম, ঠিকমত ফলা পরিয়ে নিলে এই যন্ত্রদ্বারা আমি আশানারপ পরিমাণে চামড়া কেটে নিতে পারবো, হাতে ওরকম করার খরচও বেশি, সময়ও নেয় অনেক। কিন্তু সে কলা চললো না। যন্ত্রটাকে সম্পপণ্য অন্য ভাবে গড়ে নিতে হবে দেখা গেল । কিন্তু এ জিনিসটা যত সহজ ভেবেছিলাম, ততটা সহজ হয়ে উঠল না। আমাদের কারখানার বৈদ্যুতিক শক্তির যন্ত্রপাতি বসানোর চেয়েও এতে অধিকতর কৌশল ও অধ্যবসায়ের প্রয়োজন। আমাদের অঞ্চলে সে সময় উপযন্ত যন্ত্ৰজ্ঞ মিস্ত্রীর বড়ই অভাব ছিল, তার কারণ সভ্যতার কেন্দ্র tथ८ च्छिन्, च्छिष्यः श्वशुद्ध्न । নতুন যন্ত্রের সাফল্য আমার মন থেকে যন্ত্রের প্রতি বিরদ্ধে ধারণা দরে করে দিলে। জাতের সোল তৈরি সমস্যার সদসমাধান এখনও করে উঠতে পারি নি। প্রাহা সহরের ভিনোরাদি উপকণ্ঠে জনৈক