পাতা:টমাস বাটার আত্মজীবনী - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S धान, बांद्र जापाचौबम জনতা ব্যবসায়ীর ফাম ছিল, সে একখানা জােতা ব্যবসা সংক্রান্ত পত্রিকাও প্রকাশ করত। তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমার সমস্যা তাকে বঝিয়ে বলতেই সে আমায় কতকগলি মল্যবান উপদেশ দিল এবং জাতো তৈরীর যন্ত্রপাতি সম্পবন্ধে তার যেটুকু জানা ছিল আমায় বললে। কিন্তু সে উপদেশের সংক্ষিপ্ৰতাৰ্থ যেটুকু, তা আমাদের অঞ্চলের ব্যবসায়ীরাও জানত। অনেকবার তাদের মখে সে সব কথা শানে কান ঝালাপালা হয়ে গিয়েচে । জামানিতে কে নাকি জাতো তৈরির কল আবিস্কার করেচে এবং সে কলে জাতো তৈরি চলছিলও সেখানে। তবে ব্যাপার এই কলের তৈরি জাতো অপেক্ষা হাতে সেলাই জাতোর চাহিদা বাজারে অনেক বেশি, সতরাং বৰ্তমানে সে কল আচল অবস্থায় এসে পৌছেচে । প্রাহ্য রওনা হওয়ার সময়ে আমার পরণে ছিল একটা আলপাকার সটে। পায়ে ছিল ক্যানভাসের জতো। সঙ্গে একটা হাল্ডব্যাগ পর্যন্ত ছিল না। লোকের কথা অগ্রাহ্য করে প্রাহা থেকে গোলাম ফ্রাঙ্কফোর্ট-অন-মেনে। এখানকার এক ফাম থেকে কিছুদিন পবে একখানা চিঠি পেয়েছিলাম যে তারা জাতো তৈরির কল বিক্ৰী করবে। তাদের ঠিকানা না জানায় একজন সহৃদয় পলিশম্যানকে জিগ্যোস করতেই সে ব্যান্তি আমায় মোয়েলস এ, জি, কোম্পানীর বাড়িটা দেখিয়ে দিলে। সপম্পদমান দর, দবা, বক্ষে এই ধনী ব্যবসায়ীদের প্রাসাদোপম আপিসে প্রবেশ করলাম বিশেষ সংকোচ বোধ হ’ল এই তেবে যে আমার পোষাক পরিচ্ছন্দ পারিপাট্যহীন এবং জামান ভাষার সঙ্গে আমার পরিচয় যৎসামান্য । যে দশ্য আমার চোখে পড়লো তাতে আমি বিস্ময়ে সস্তম্ভিত হয়ে গেলাম। আমি মাত্র সেলাইয়ের ও ছিদ্র করবার কল খাজতে এসেছিলাম, এখানে এসে দেখি বহবিধ প্রকারের জটিল যন্ত্রপাতির অপার সমারোহ। জাতো তৈরির সবরকম বিভাগীয় কায্যের যন্ত্র এখানে রয়েচে, তুচ্ছতম কোন কায্যের কথাও যন্ত্রনিমাতার মন থেকে বাদ পড়ে নি। কিন্তু হায়! এসব যন্ত্ৰ বাপশক্তির দ্বারা চালিত। আমার কারখানায় বাহুপচালিত এঞ্জিনের কোন বন্দোবস্ত নেই রা অদর ভবিষ্যতে তা কারখানায় বসাবার ধারণাও করতে পারি নে। যন্ত্রের মাল্যও ছিল আমার ক্রয় করবার ক্ষমতার বহির্ভূত। সতরাং ফ্রাঙ্কফোর্ট সহরে আমি সামান্য কয়েকটি হাতে চালান কল, যেমন একটি ভাল সাঁড়াশি, এক জোড়া চামড়া পাণ8, করবার কাল ও একটি ম্যাগনেটিক হাতুড়ি ক্ৰয় করি। ফিরবার পথে ভাবতে ভাবতে আমার মাথা গরম হয়ে গেল, কিন্তু খারিন্দারের সঙ্গে চুক্তি বজাৰ্য রাখবার ভাবনায় নয়। সে ভাবনা আমার কাছে এমন নিতান্ত হাস্যকর ও সামান্য বলে মনে হচ্ছিলআসল ভাবনার বিষয় ছিল ফ্রাঙ্কফোর্টের কারখানার বিরাটকায় ইস্পাতের দৈত্যগলি। স্বচক্ষে এ বিরাটকায় দৈত্যদের প্রত্যক্ষ করে এসেচি, যারা প্রত্যেকে আমার চুক্তির পরিমাণের হাজারগণ বেশি মাল সরবরাহ করতে সমৰ্থ। জগতে যে এই বিরাট শক্তির অস্তিত্ব আবিস্কার করতে পেরেচি, আমার কাছে এই ছিল একটা গবের বস্তু, একটা কাজের মত কাজ, যদিও ভালভাবেই জানতাম। এ দৈত্যকে আমার কারখানায় নিয়ে গিয়ে কাজে লাগান বর্তমানে অসম্ভব। আমি সে সময় মানষের সমাজ ব্যবস্থা সম্পবন্ধে যে মত পোষণ করতাম, সেই মতবাদ আমার চিন্তাকে আরও উত্তেজিত করে তুলেছিল। আমার বিশ বৎসরের তরণ জীবনে এ মতবাদ গড়ে উঠেছিল। টলস্টয়ের রচনাবলীর ও সবাতোলিক চেকের কবিতার প্রভাবে (এ সব কবিতার অনেকগালি আমার মািখপথ ছিল), চেকজাতির ইতিহাস সম্পকিত পােস্তকগলির দ্বারা কিন্তু সবাপেক্ষা বেশি, আমার চতুঃপাশেবর প্রতিবেশীদের মােখর আলোচনা হুবারা।