পাতা:টমাস বাটার আত্মজীবনী - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ bሃ मान वाद्र जापाजौवनी যখনি আমার অসাফল্য বা অক্ষমতার বিষয় নিয়ে বাজারে গজব উঠতো তখন এই সমস্ত লোক আমার মাখের দিকে ভীত দন্টিতে চেয়ে সংকুচিতভাবে চলে যেত, তাদের মখে চোখে পল্ট উদ্বেগ ফুটে উঠত, বাটা কি ব্যবসা চালাতে পারবে ? সব মাটি করে ফেলবে না তো ? ওদের সখিসম্পদ এমন কি অস্তিত্ব পর্যন্ত আমার সাফল্যের উপর নিভাির করচে-শাধ আমার একার সাবাথই যে এর মধ্যে छएिउठ एला नाप्त । এই সব হতভাগ্যদের বিজন করা কি সংগত হবে ? অনাগত ভবিষ্যতের সমাজতান্ত্রিক রাস্ট্রের আশাপথ চেয়ে কি খেয়ে বেচে বসে থাকবে এরা ? আমি কিভাবে কারখানার মালিক হলাম। সে ঘটনা এবার বলব। বাড়ি এসে মেসাস কিটস কোম্পানীর প্রেরিত কতকগালি পাস্তিকা হাতে পড়ল। বরাবরই ভেবে এসেচি, এই যন্ত্ৰদৈত্যদের জগতে নিশ্চয় কোথাও কোন বামনের অস্তিত্ব বর্তমান, যে আমার পরিত্রাণ আনয়ন করতে পারে। কিটস কোম্পানীর ক্যাটালগের মধ্যে সেই বামনের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎকার হ’ল-সে বামন অন্য কিছ নয়, ছিদ্র করবার একটি যন্ত্ৰ যেটি আমার মজরদের তৈরি মালের সংখ্যা যথেষ্ট পরিমাণে বাড়িয়ে যথানিদিষ্ট সময়ে আমার চুক্তিমত মাল সরবরাহের পথ সংগম করে দিলে। এই সব ক্ষদ্র যন্ত্রের ব্যবহার আমি নিজে ভাল করে অভ্যাস করে আমার মজরদের শিক্ষা দিলাম। মজরদের সংঘবদ্ধভাবে এসব বিষয় শেখানোর ব্যবস্থা করলাম। এই শিক্ষা এবং যান্ত্রিক-জ্ঞান-সম্পন্ন উন্নত ধরণের মিস্ত্রির নিয়োগ দ্বারা আমার কারখানার পেছনে বিপােল মলধন বর্তমান, তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হতে সক্ষম হ’ল আমার এই ক্ষদ্র কারখানাটি । আমার হিসাবের খাতায় খরচ ও দেনার অঙ্কের অপেক্ষা জমার অন্তক হ হ করে বেড়ে চললো । আমার তরীণ বয়সের স্বপন যে ক্ষমাদ্র কৃষিকাযোপযোগী জমি, তা কিনেও অনেক টাকা জমার অঙ্কে বাঁচে, এমন কি আমার এবং আমার ভাইবোনের গ্রাসাচ্ছাদনের ব্যয় অপেক্ষা অনেক বেশি টাকা হাতে জমতে সরণ করল। আমার এ পরিশ্রম অজিত সঞ্চায়ের স্বপক্ষে আমার অধীত জ্ঞান ও লোকমখের আলোচনা আমাকে প্রেরণা দান করত, পাঁজিবাদীদের বিপােল মলধনের সঙ্গে যাদ্ধ করে আমার ক্ষদ্র কারখানার অস্তিত্বটুকু বজায় রাখতে হবে। আমার ভ্রাতা-ভগ্নীর সনাম বজায় রাখতে হবে। আমার পরিশ্রমের ওপর আমার ও তাদের খাদ্যগ্রাস নিভাির করছিল যতক্ষণ, ততক্ষণ আমার বিবেক ছিল দোষমন্ত নিমাল। কিন্তু এখন আমার অবস্থার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে সে ওজর কেটে গেল। কোন দঢ় ভিত্তির উপমা দাঁড়িয়ে আমি নিজের ধনতাত্ৰিক মালিকানা সমৰ্থন করবো ? তবে যতক্ষণ অবশ্য আমি নিজে হাড়ভাঙ্গা খাটুনি খাটি, অলসের মত বসে অপরকে না খাটাই, যতক্ষণ আমি বেকার লোকদের কাজ দিই, সমাজের প্রয়োজনানযায়ী জিনিস সস্তায় সরবরাহ করি এবং যখন আমার খরিদ্দারেরা জিনিস কিনে সন্তুটি হচ্চে-ততক্ষণ আমি আমার মালিকানা সমৰ্থন করতে না পারি। এমন নয়। সমাজের সেবা কি আমিও করাচি না ? s কিন্তু অবস্থা অন্যরকম দাঁড়ােত তখন, যখন কাজের অবকাশে আমি শিক্ষিত ও সভ্যসমাজে বস্তৃতা দেবার জন্য যেতাম, যখনই বই বা খবরের কাগজ হাতে করতাম। যেন চারিদেক থেকে রব উঠতো-ঘণ্য পাঁজিবাদী, ক্রীতদাসের মালিক ! ঠিক যে আমার নামই তারা উচ্চারণ করতো তা নয়। আমার মনের এ একটা আইডিয়াল মাত্র--