পাতা:টমাস বাটার আত্মজীবনী - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

艾总 आन बाना पत्रा’: अवभा আমেরিকা থেকে টাকা রোজগার করে আমি ইউরোপে আমদানি করতে চাইনে-আমি চাই মাটিকান শ্রমিকদেশ সমকক্ষ হ’তে । চাকরির সন্ধানে ফিরবার সময় একদিন প্রতিজ্ঞা করলাম, চাকরি না জোগাড় করা পর্যন্ত আমি উপবাসে থাকবো। তখন আমি চাকরি পেয়ে গেলাম। ভবঘরে থেকে হয়ে গোলাম বড় লোক এক মহতো। কারণ আমেরিকায় কমাই আভিজাত্যের চিহ্ন। আমার হােত দ’খানাতে ফোস্কা পড়ে গেল বটে কলৈ চালাতে চালাতে, কিন্তু নিজের উপর অগাধ বিশ্ববাস আবার ফিরে এল। [ টমাস বাটা এইখানেই কমারম্ভ সম্পবন্ধে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনী শেষ করেচেন। পরবতীর্ণ অধ্যায়ে আমরা তাঁর চিন্তা ও বক্তৃতা প্রকাশ করলাম, এগলির মধ্যেই কম ও জীবন সম্পবন্ধে তাঁর আদশের স্বরপটি নিহিত রয়েচে । ] টমাস বাটার জীবনের গভীরতম সত্তর অন্যাসন্ধান করলে দেখা যাবে মানষ হিসাবেই কি বা ব্যবসাদার হিসাবেই কি এই ব্যক্তি বিপদ ও বাধাকে জয় করেই সর্বপ্রতিস্ঠ হয়েছিলেন। আমরা দেখোঁচি, উনিশ বছর মাত্র বয়সে টমাস বাটা কি ভাবে ব্যবসার বিপদ এবং নিজের জীবনের ব্যক্তিগত বিপদকে জয় করেছিলেন। এই পরিবর্তনের মািল কথাটি কি ? মল কথাটি এই যে ব্যবসা সাদাসিদে ঘরোয়া ব্যাপার নয়, সমাজের সেবার ওপর এর প্রকৃত সাফল্য ও অস্তিত্ব নির্ভর করচে। বাৰ্টা কথার মধ্য দিযে এই পরিবতন প্রচার করেন নি; করেছিলেন। কায্যের মধ্যে, চিরদিনই কথার চেযে কাজ বড় ছিল তাব কাছে। সে সময় তাঁর কারখানায় ‘বাটােভাকি’ নামে এক ধরণের সস্তা, হালকা, নেকডোর জিতো তৈবি হ’ত, সে জাতো ধনী দরিদ্র সকলেই কিনতে পারতো। এত সস্তা। জীবনের সে সময়ে টমাস বাটার মনোভাব কিরােপ ছিল, এবিষয়ে তিনি কোথাও কিছু বলেন নি। এই ভানপ্রবণ, প্রতিভাসম্পন্ন তরণ যাবকের মন সে সময় আত্মার সমস্যা সমাধানে বিনিদ্র রজনী যাপনে ব্যস্ত। তাঁর মাতুর পরে সে বিষয়ের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। তবে কি ভাবে সমস্যার সমাধান ঘটেছিল তা আমরা জানি না। কিসে তাঁকে রাশিয়ান দশনিবাদের অনাড়শবর জীবনযাপনের ভক্ত সুথকে দঢ়চেত। কম বীরে পরিণত করেছিল ? সামান্য কৃষকের ভূমিখন্ডের সর্বপন থেকে কিসে তাঁকে দনিয়া জোড়া ব্যবসার মালিক করে তুলেছিল, এ সবের উত্তর আজ কে দেবে ? আমরা পরবতী অধ্যায়ে তাঁর যে চিন্তাধারা ও রচনা প্ৰকাশ করব, তাতে দেখা যাবে পরিণতবন্ধি পাকা ব্যবসাদার টমাস বাটাকে, কম কুশমা ও অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে যিনি সব রকম বিপদের সঙ্গে যঝেছিলেন। টমাস বাটার মনে কমের স্বয়ং পরিচালনার আদর্শ এল কোথা থেকে ? তাঁর বস্তৃতাবলীর মধ্যে আমরা আংশিকভাবে এ প্রশেনর উত্তর পাই। “আমেরিকাতে আমি সবাপেক্ষা পছন্দ করতাম ধনী ও শ্রমিকের সম্ববন্ধটি। আমিও মনিব, তোমরাও মনিব ; আমি ব্যবসাদার, তোমরাও ব্যবসাদার। আমি চাই এই আদশ সম্পবিন্ধটি জিলািন সহরের ধনী ও শ্রমিকদের মধ্যেও সস্থাপিত হোক। আমি চাই, আমাদের মধ্যে কেউ ছোট বড় থাকবে না।” কিন্তু শিল্প-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শােধ সদিচ্ছা ও ভাবপ্রবণতা নিয়ে কাজ চলে না। এ সকল গণ৷ প্রচুর পরিমাণে থাকা সত্বেও তাঁকে গরতের বাধাবিপদের সম্পমখীন তাতে হয়েছিল। এই বিপদ সবাপেক্ষা ঘনীভূত হয়েছিল ১৯০৮ সালে তাঁর দাদার মােত্যুর পরে। তরণ টমাস বাটার হাতে কারখানার সম্পণে দায়িত্ব ও পরিচালনার ভার এসে পড়ল। এসময়ে।