পাতা:টমাস বাটার আত্মজীবনী - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 चिान बाड़ा जापाजीवनी নিবন্ধ রইল হাতের ঘড়ির দিকে এবং রাস্তার মাইল-স্টোনের দিকে, ঘোড়া দ’টি অশান্ত হয়ে পড়বার আগে আমাদের হলিন স্টেশনে পৌছতে হবে। গাড়ির গাড়োয়ান হবাসেকও ব্যাপারটি বঝেছিল। হলিনের চিনির কারখানার কাছে এঞ্জিনের ধোঁয়া দেখা গেল। সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন ধরবার শেষ আশাটুকুও বঝি শিলািপত হয়। বোধ হয় ঘোড়া দ’টিও বঞ্চিলে তাদের আত্মবলি দেওয়ার সময় এসে গিয়েচে, হাতে খেয়ে তারা বেচে আছে, এবার তারই কাজে জীবন উৎসগ করতে হবে। অসম্পভব সম্পভব হ’ল তাদের দ্বারা। স্টেশনে গিয়ে টিকিট কিনবার সময় ছিল না। রেলের তারের বেড়া ডিঙিয়ে একটা মালগাড়ির পাশ কাটিয়ে আমি ছটে গিয়ে এক্সপ্রেস ধরলাম, গাড়িখানা তখন একটু একটু চলতে সাির করেচে। ভিয়েনাতে আমি কিছু কাজের ঠিক করতে পারলাম না, সকল চোটাই ব্যর্থ হয়ে গেল। অন্য অন্য উমেদারেরা যে জবাব পেয়েছিল, আমিও সেই একই জবাব পেলাম। ওরা বললে, দ’টি কোম্পানী যন্ধের মাল সরবরাহ করে থাকে, যাদ্ধ বিভাগের মন্ত্রীর দপ্তর থেকে তাদের সামরিক বট সরবরাহের জন্য পনের বছরের কন্ট্ৰাষ্ট্র করা হয়েচে । কি মনোদঃখ নিয়েই ভিয়েনা থেকে জিলন, সহরে ফিরলাম! এদিকে বাড়ির ও পাড়ার লোক উদ্বিগ্নচিত্তে আমার আগমন প্রতীক্ষা করচে, তাদের অপেক্ষমান হৃদয়ে এ প্রশন জােগচে, কোথায় তাদের কাজ করতে হবে, কারখানায় না। ফ্রণোিট ? বর্তমান কালের যান্ত্রিক যন্ধের বিভীষিকা ও সৈন্যদলে যোগদানের আদেশ তাদের মনকে সন্ত্রস্ত্র করে তুলেছিল নিশ্চিত মাতুর আশঙ্কায়। আমি সেই থেকে আমার পরাণো মোটর গাড়ি এলাকাতে বা ট্রেনে চেপে প্রাযাই ভিয়েনায় যেতে লাগলাম। খব তাড়াতাড়ি কাজ করতে হ’ল আমাকে । আমাদের সহরের কনস্টেবল কাভাপিল অত্যন্ত কড়া মেজাজের লোক, সে ইতিমধ্যে সহরের লোকদের জািররী তাগিদ দিতে আরম্ভ করেচে। যান্ধে যোগদান করতে, ভিযোনাতে লোকজনের হাতে হাতকড়ি পরিয়ে দড়ি বোধে হিচড়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সৈন্যদলে ঢুকিয়ে নিতে। এ অবস্থায় আশ্চর্য নয় যে আমার সহরেব লোকেরা সেন্টশনে দািব দর বক্ষে আমার টেলিগ্রামের প্রত্যাশায় থাকবে। তৃতীয় দিনে আমি ৫০,০০০ হাজার সামরিক বট সরবরাহ করবার অডার অতি কমেট যোগাড় করলাম, কিন্তু তারা যে দর দিলে, তাতে আমার লাভ বিশেষ কিছুই থাকবার কথা নয। তখন দপয়ে বেলা, কয়েক মিনিট পরে ভিযেন থেকে এক্সপ্রেস ছাড়বে। সামরিক দপতরখানার আশেপাশে একখানাও ট্যাক্সি পাওয়া গেল না। সতরাং আমি সাকুলার রোডের দিকে স্থােটলাম। আমি তখন নবীন যবেক, ছািটতেও পারতাম খােব। সাকুলার রোডে অনেকগালি টাক্সি ছিল, কিন্তু সবগলি মিলিটারি অফিসারেবা দখল করে বসে আছে। তখনকার দিনে কারো ক্ষমতা ছিল না। সামরিক বিভাগের লোকের অধিকারে মাথা ঢোকাতে যায়। বিপরীত দিকে একখানা খালি গাড়ি যাচ্ছিল, অনেক তকান্তকির পরে সেই গাড়ির গাড়োয়ান আমায় নাথ স্টেশনে নামিয়ে দিতে রাজি হ’ল। ট্রেন তখন হাইসাল দিয়েচে। গাড়ির গাড়োয়ান যে ভাড়া আদায় করলে, সে পয়সায় একটা ভাল ঘোড়া কেনা যেত। জিলন, সহরে সেদিনই আমি মেয়র স্টেপানেকের সঙ্গে দেখা করি। তাঁকে জানাই, আমি যে অডার এনেচি, সন্থানীয় সমস্ত কারখানার মধ্যে তা ভাগ করে দিতে চাই। সতরাং এভাবে ৫oooo হাজার সামরিক বটের অডার, যা মাত্র টি এন্ড এ বাটা কোম্পানীর নামে হয়েছিল, জিলনস্থিত সমস্ত জন্তোর কারখানার মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে গেল। প্রত্যেকের