পাতা:টমাস বাটার আত্মজীবনী - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rey कैधान बाबू जापाछौबमौ সেই ভীষণ দদিনে টমাস বাটা তাঁর খরিদারদের রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মন্ত করবার যথেষ্ট চেন্টা করেছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত কৃতকায হয়ে তাদের শ্রদ্ধা আকর্ষণ করতে পেরেছিলেন, এটাই সব চেয়ে বড় কথা। ১৯২২ সালের অর্থনৈতিক ও শিল্প সংক্রান্ত বিপ্লবে যখন বহন ব্যবসায় টলমল, বহর কারখানা ও ফাম দেউলে আদালতের ফরিয়াদী, তখন তিনি এমন একটি কাজ করলেন যার ফলে জনসাধারণের সহানভূতি ও সদিচ্ছা লাভ করতে সমর্থ হলেন। একদিনের মধ্যে তিনি সব রকম মালের দাম শতকরা ৫০০ ভাগ কমিয়ে দিলেন। বড় বড় ফামে এতে তাঁর প্রতি নানারকম বিদ্যুপ বর্ষণ করতে লাগল এবং যাতে তাঁর সব নাশ হয়, সে বিষয়ে সচেন্ট হ’ল। বাটা সকল বিপদ জয় করলেন। পবোন্ত দাম কমানোর ব্যাপারে বাটাকে তাঁর সমস্ত সন্টক বিক্ৰী করে বাটা তাঁর কারখানার খরচ কমিয়ে ক্ষতির পরিমাণ বেধে দিলেন এবং ১৯২৩ সাল থেকে বাটার ব্যবসা হা হা করে বেড়ে চলল, কারখানা বাড়িতে কারখানার কাজ চলছিল, তা থেকে ক্ৰমে ১৯৩২ সালে এক জিলািন সহরেই পঞ্চাশখানা বাড়িতে কারখানা বাসল, এ ছাড়া অষ্ট্ৰোকোভিচে কুড়িখানা বাড়িতে পথক কারখানা ছিল। এই ১৯৩২ সালেই এক শোচনীয় দীঘটনায় টমাস বাটার মাতৃত্যু হয়। ১৯১৮ সাল থেকে ১৯২৩ সাল পর্যন্ত বাটার শিক্ষানবিশি ও প্রতীক্ষার সময়, ধীর অবিচল প্রতীক্ষা, যার শেষে সাফল্যের অপেক্ষমান জয়মালা। দেশব্যাপী সেই ভীষণ দরবস্থার দিনে বাটা শািন্ধ সমালোচনা করেই ক্ষাগত ছিলেন না। কমের মধ্যে, নিম্ঠার মধ্যে, সত্যের মধ্যে, তিনি নিজেকে ও তাঁব কমকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। প্রাচীন সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিধিব্যবস্থা তখন ভাঙ্গনের মাখে, বাটা বঝেছিলেন তাঁকে বাঁচতে হ’লে ও দেশবাসীকে বাঁচাতে হ’লে নতুনতর ভিত্তিতে তাঁর ব্যবসাকে দাঁড় করাতে হবে। কিন্তু কি করে আরম্ভ করা যায় ? এ সমস্যার সমাধান বাটা একদিনে করে উঠতে পারেন নি। ১৯১৮ সাল থেকে ১৯২৩ সাল পর্যন্ত তিনি যে সব বক্তৃতা দিয়েছিলেন, সেগলির মধ্যে আমরা দেখতে পাই এই সমস্যার সদসমাধানের জন্য তাঁকে কি প্রাণপাত পরিশ্রম করতে হয়েছিল, কত বাধাবিঘ্যকে অতিক্রম করতে হয়েছিল। অবশেষে তাঁর দিন এল। ১৯৯৮ সালের অৰ্থনৈতিক সমস্যা সম্পর্বশেষ টমাস বাটার প্রবন্ধ (১৯১৮ সালের ২৫শে মে প্রকাশিত) যন্ধ আমাদের এক অদ্ভুত অবস্থার মধ্যে এনে ফেলেচে। জনসাধারণের জীবনে আমরা এই ভীষণ যন্ধের প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করচি, খাদ্যদ্রব্যের মল্যের অসম্ভব বন্ধি এই প্রতিক্রিয়ার একটি রােপ । এই সব ঘটনা আমাদের নিত্যনৈমিত্তিক জীবনে অহরহ পরিবর্তন এনে দিচ্ছে। এই সব ঘটনা থেকে ও প্রতিদিনের দঃসংবাদ থেকে নিজেকে দরে রাখা শক্ত। তাঁর পরিবারের মধ্যেই এই ঘটনার ঘাতপ্রতিঘাত এসে পৌছয় এবং তাঁকে আবতের মধ্যে নিক্ষেপ করে। সতরাং অনিচ্ছাস্বত্বেও এ সব ঘটনা আমাদের লক্ষ্য করতে হবে এবং শাধ লক্ষ্য করলেই চলবে না, তাদের সঙ্গে সংগ্রামের জন্যে নিজেদের তৈরি করতে হবে। বাইরে থেকে আমাদের নিলিপিত মনে হ’লেও আমরা অহরহ এই বিরদ্ধে শক্তির সঙ্গে সংগ্রাম করাচি। তবে এই সংগ্রামের কন্ট আমাদের লাঘব হবে মোটা মজরির কাজের হবারা। জিনিসের মাল্যবদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কারখানার মজারেরা একথা ভেবে সন্তুষ্মন্ট থাকবে যে তাদের আয়ও বেড়ে গিয়েচে এবং যদি দীঘটনা চরমতম সীমায় না গিয়ে দাঁড়ায়, তবে এই বিপদের মধ্যেও তারা নির দ্বিগ্ন থাকতে পারে।