পাতা:টমাস বাটার আত্মজীবনী - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 R भान, बाब्र मv अौवन । তাকে ছাড়িয়ে গেল বঝি । কিন্তু কম কুশল ব্যক্তির সময় নেই হিংসা করবার। সে শ্রমিকদের মধ্যে সংকমের ও সদিচ্ছার বীজ বপন করে তাদের শিক্ষিত করে তুলবে। তার সময় ব্যয় হয় নিজের ও তার মনিবেয়া ব্যবসার উন্নতিকল্পে। চিফ ডিরেক্টরের আপিসে যদি লেখা থাকে ‘প্রবেশ নিষেধ, সে তার জন্যে কিছুমাত্র গ্রাহ্য করে না। সে নিসংকোচে আপিসে ঢুকে চিফ কে অভিবাদন জানায়, চিফ কে বঝতে দেয়। সে নিজের বিবেকমত কতব্য সম্পাদন করে চলেচে, কাউকে সে ভয় বা খাতির করে চলে না। একটি কথা আমরা যেন সবদাই মনে রাখি। যে কাজে লাভ কম, আয় সামান্য সে কাজে লক্ষ লক্ষ প্রতিদ্বন্দৰী বৰ্তমান, কিন্তু যে কমে বা ব্যবসায়ে বন্ধি, উৎসাহ, কৌশল ও অভিজ্ঞতার প্রয়োজন সে সব ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা অনেক কাম-কারণ তার উপযন্ত লোকের সংখ্যা কোন দেশেই বেশি Qs অনেকের বিশ্ববাস আছে পথিবীতে মাত্র মন্টিমেয় ধনী ব্যক্তিব স্থান আছে। প্রাচীন দিনেব কৃষকেরা এ ধারণা পোষণ করতো, আমরা সেই কৃষকদের বংশধর, সেই বিশ্ববাস আমাদের রক্তে ও বর্তমান । কৃষকেরা ঐশবয মানে বোঝে জমি। পথিবীতে জমির পরিমাণ সীমাবদ্ধ, কিন্তু শিল্প-বাণিজ্যে আয বা উন্নতি সীমাবদ্ধ নয়, যত লোক এতে খাটে, সকলেরই উন্নতির উপায় আছে। আমাদের কারখানার কথাই ধরা যাক। এর যত উন্নতি হবে, এবং শ্রমিকদের তত উন্নীত ! কলকব্জায় তেল দেওযার মত, যত তেল দেবে, তত ভালভাবে কল চলবে। যে লোকের সন্য নেই, সাঁচয়ের বন্ধি নেই—সে লোক দুবারা আমাদের কাজের উন্নতি হওয়া সম্পভব নয। সে শ্রমিককে আমধা তৈলবিহীন মরচে-ধরা কলের সঙ্গে তুলনা করতে পারি। কারখানাকে দেখতে হবে একটি গহস্থালী। ম্যানেজার বাড়ির মালিক, শ্রমিকেরা গহস্থালীব লোক। সমস্ত কারখানা নিয়ে একটি সবাহৎ পরিবার। পরস্পরের বিপদে পবিত্সপরে সাহায্য করবে, একজন অপরকে সাহায্য করবে।--শাধ কারখানার মধ্যে নয়, কারখানার বাইবেও। যদি কোন শ্রমিকেব কোন বিপদ ঘটে, তবে কারখানার ম্যানেজার ভাববেন এ তাঁর নিজেরই বিপদ। এই মনোভাব প্রত্যেক শ্রমিকের মধ্যে আনতে চেন্টা করতে হবে। এর মলে রয়েচে আত্মসংযম। তবণদের মধ্যে এ শিক্ষা প্রচার করতে হবে।--কারণ মদ্যপান, ধামপান প্রভৃতি অপব্যয়ের পথে এখনও তারা পা বাড়ায় নি, কিংবা বাড়ালেও এখনও কুঅভ্যাসগলি বদ্ধমতল হয়ে ওঠে নি। তাদের মধ্যে। আমাদের বিশেষ চোটা হবে এই জন্যে, তরুণদের সংশিক্ষা। চোদ্দ বছব বয়স থেকেই যাতে তারা পরিবারের পণ দায়িত্ব গ্রহণ করার বহ পাবে সম্পপণরূপে আৰ্থিক সাচ্ছল্য অজর্ন করতে পারে, তার ব্যবস্থা কবতে হবে। তরুণদের শারীরিক সম্ববাসস্থ্য ও ব্যবসায় শিক্ষা ছাড়া আরও একটা বিষয়ে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে- ২৪ বৎসব বয়স পণ্য হবার সময় তার হাতে যেন কিছু মলধন জমে। তাদের ব্যক্তিগত আয় যদি প্রতি বৎসর বেড়ে চলে, ১৪ বৎসর বয়স থেকে-তবে দশ বৎসরের মধ্যে হাতে মলধন জমা খাব रार्गठन श्रद ना । নারীশিক্ষা আমাদের একটি প্রধান কতব্য। তবে মেয়েদের শিক্ষা হবে অন্য ধরণের। রন্ধন বিদ্যা উপযন্তভাবে শেখানোর ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের স্কুলে। উৎকৃষ্ঠািট রন্ধন সবাস্থ্যের পক্ষে বিশেষ প্রয়োজনীয়। রন্ধন বিদ্যা আজকাল বিজ্ঞানের পদবীতে উন্নীত হয়েচে । পোষাক পরিচ্ছদ সেলাই করা, শিশপালন, গাহকম প্রভৃতি বিষয়েও মেয়েদের শিক্ষা দেওয়া উচিত। শিক্ষিতা গহিণী তাঁর বন্ধি