পাতা:টমাস বাটার আত্মজীবনী - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SW ềuIFA, sửiI kii ữ hoãn প্রত্যেক কারখানা প্রকৃতপক্ষে বহশত ডিপার্টমেণ্ট ও তাদের শ্রমিকগণের সন্মেলন, যার মধ্যে প্রত্যেকটি শ্রমিকের স্বতন্ত্র দায়িত্ববোধ ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বিদ্যমান। ডিপার্টমেণ্টগলিরও ‘প্ৰত্যেকটির যথেস্ট স্বাধীনতা আছে, এই অথে যে, (১) প্রত্যেক ডিপার্টমেণ্টে এমন একজন লোক আছে, যে তার নিজের ডিপার্টমেন্টের কাজ কম, এলাভ ও ক্ষতির জন্য দায়ী । (২) প্রত্যেক সপতাহে বিভাগীয় লাভ-ক্ষতির হিসােব প্রকাশিত হয় । (৩) শ্রমিক সদার ও বিভিন্ন শ্রমিকের অধিকার থাকবে তাদের বিভাগের কম পদ্ধতির অদলবদল বা সপরিচালনা সম্বন্ধে। (৪) প্রত্যেকের ব্যক্তিগত দায়িত্ব। (৫) কোন বিভাগের কম সম্পবন্ধে গোটা কারখানায় সম্মিলিত দায়িত্ব । কারখানায় পরিচালনা এ বিষয়ে সম্মিলিতভাবে সকল কর্মীর দায়িত্ব স্বীকৃত হয়, সতরাং পরিচালনা বিষয়ে প্রত্যেকেই তার মত ব্যস্ত করবার অধিকারী। প্রত্যেক বিভাগে একজন ম্যানেজার আছে। তার হাতে কিছু মালধন দেওয়া আছে এবং সে মলধন উপন্যােন্তরাপে ব্যবহার করবার স্বাধীনতা আছে তার। সে মালধন শােধ অৰ্থ নয়- “সেই বিভাগের কামারশালা, যন্ত্রপাতি, শ্রম ইত্যাদি সেই অলিখিত মলধনের অন্তভূক্ত। এই সব মলধনেব সম্প্রযোজনা তার প্রধান ও একমাত্র কতব্য। সমগ্র কারখানার বিভিন্ন বিভাগগলির সহযোগিতায় ব্যবসায়ের মািল নীতি ও চুক্তি নির্ধারিত হয়। এই সব চুক্তি হিসাব বিভাগের কর্মচারিগণ ও কারখানার ডিরেক্টাবগণ কর্তৃক নির্ধারিত হয়ে থাকে। যদি চুক্সিতে কোন গোলমাল থাকে, নিরপেক্ষ ব্যক্তিগণ সে বিবাদেব মীমাংসা করেন। তৈরি মালের দাম নিধারিত হয় রীতিমত ব্যবসায়েব ভিত্তিতে। এক ডিপার্টমেণ্ট অন্য ডিপার্টমেন্টের হাতে মাল দেওয়ার সময় মনে করে যে অন্য একটি ফামের হাতে মাল দেওয়া হ’ল । বিভাগীয় কষ্ট্রোলারগণ মালের তত্ত্বাবধান করেন, তাঁরা দাম ঠিক করবার সমযে ম্যানেজারদের মািখ চেয়ে কাজ করেন না বলেই নিরপেক্ষ থাকতে পারেন। এ বৎসরের কাজের প্রস্তুল্যান নিধারিত হয় তার পােব বৎসর। এই পাল্যান ঠিক হয় সব ডিপার্টমেণ্টের পাল্যানগােল একত্র করে আিফ্ৰকল্প মাল্য, মাল তৈরি ও বিক্রীর খরচগলির ওপর ভিত্তি করে। বাষিক পাল্যান আবার দৈনিক আটঘণ্টা কাজের ও দৈনিক মাল তৈরির পরিমাণের ওপর প্রতিষ্ঠিত। সবদিকের হিসাব নখদপণে না রাখলে ব্যবসায়ে সাফল্য অজর্ন করা যায় না। yra“ survir e arvar (দৈবকে জয় করতে হবে। ) প্রত্যেক কমে আজকাল দৈব নিজের লীলা প্রদর্শন করে---কিভাবে কখন দৈব আবির্ভূত হবে, পাব থেকে তা বলা যায় না।