পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায় । | ডাক-গাড়ী | “নাও মশায়, গা তােল, লিষ্টারের ট্যালিহে ডাকগাড়ী আর আধ ঘণ্টা মধ্যে এসে পৌছবে, কারুর জন্য এক মিনিট ও সবুর করে না। এই বলিয়া পিকক সরাইয়ের ফরাস ১৮৩-খৃষ্টাব্দের নভেম্বর মাসের প্রথমভাগে শেষ রাত্রি ২/৩ টার সময় টমের কাধ ধরিয়া নাড়া দিল এবং তাহার পর বাতিটা সেইখানে রাখিয়া উহার জুতা সাফ করিতে লইয়া গেল। তাহার পিতা পূৰ্ব্বদিন বার্কশায়ার হইতে সহরে আসিয়া পৌছার এবং তত্ত্ব লইয়া জানেন যে সহর থেকে বার্মিংহামের যে গাড়ীগুলি ছাড়ে রাগবির ভিতর দিয়া যায় না। সােয়ারি সদর রাস্তা হইতে তিনি মাইল। দূরে ডানচার্চ নামক একটি গ্রামে নামাইয়া দেয়, সেখান হইতে সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করিয়া অক্সফোর্ড-লিষ্টারের গাড়ী ধরিতে হয়, অথবা একখানা ভাড়াটে গাড়ী লইয়া যাইতে হয়। সুতরাং টমের ট্যালিহাে ডাকগাড়ীতে যাওয়াই স্থির হইয়াছিল। এই গাড়ী সদর রাস্তা হইতে ভাঙ্গিয়া রাগবির ভিতর দিয়া যাইত এবং ভােরের গাড়ী বলিয়া টম এবং তাহার বাবা ঠিক রাস্তার উপরেই থাকিবেন বলিয়া পিকক সরাইয়ে আসিয়া আশ্রয় লইয়াছিলেন। টম পূৰ্বে আর কখনও লণ্ডনে আসে নাই এবং পূর্বদিন সন্ধ্যার সময় ষ্টার নামক গাড়ী করিয়া বেল স্যাভেজ হােটেলে যখন তাহারা আসে তখন তাহার ইচ্ছা হইয়াছিল যে সেইবনেই থাকিয়া যায়। সেই অনন্ত রহস্যময় গ্যাসের আলােকে আলােকিত পথ শ্রেণীর মধ্যে, সেই আলাের। জৌলুসও জন প্রবাহের হলহলার মধ্যে নিয়তই ঘুরিয়া বেড়ায়। •