পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২ + = । না । - ET '| টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। বলি, মহাশয়, এবং প্লাঙ্কাসের অধিনেতৃত্ব কালে স্কুল বাড়ীর ম্যাচ খেলায় প্রথম গুলতান বড় তামাসার কথা ছিল না। কিন্তু ঐ দেখ গুলতান ভাঙ্গিয়া গেল এবং স্কুল বাড়ীর পক্ষের দিকে বল ছুটিল এবং স্কুল পক্ষীয়েরা এক দমে স্কুলবাড়ীর আগাড়ী খেলােয়াড়ীদের ছাড়াইয়া বল লইয়া গেল। ব্রুক এবং আরও বিশ জনের গলা হাঁকিল “পেছলিতে হুশিয়ার”। কিন্তু সতর্ক করার কোন আবশ্যক ছিল না, কারণ স্কুলবাড়ীর পিছাড়ীদের কাপ্তেন বলটাকে লাফাইবার মুখে ধরিয়া ফেলিয়া স্কুল পক্ষীয়দের অগ্রবর্তী আক্রমণকারীদের পাশ কাটাইয়া সুন্দর একটি পড়ন-লাথির ঘায়ে প্রতিপক্ষের কোটের মধ্যে চালান করিয়া দিয়াছে । তারপর ধাক্কার উপর ধাক্কা, গুতানের উপর গুলতান, বলটা কখনও স্কুলবাড়ীর পেছলির দিকে ছুটে কখনও বা স্কুল পথের গােলের দিকে ছুটে, ফুলবাড়ী সুরুলাপি এবং অনুকূল হাওয়ার দরুণ যে সুযােগটুকু পাইয়াছিল তাহা এখনও হারায় নাই এবং প্রতিপক্ষকে অল্পে অল্পে কোণ,সাে করিয়া আনিতেছে। আপনি বলিবেন যে ইহাতে বিশেষ কিছু দেখিবার নাই, কেবল একপাল ছেলের জুড়াহুড়ি, আর একটা চাড়ার বল, লাল নেকড়া দেখিয়া বড়ি যেমন মাতিয়া উঠে বলটাকে দেখিয়া ছেলে গুলাও সেইরূপ উত্তেজনায় উন্মত্তের মত হইয়া উঠিতেছে। মশাত্মগাে আপনার কাছে একটা যুদ্ধও দেখিতে প্রায় ঐরকমই হবে, তফাতের মধ্যে ছেলের বদলে বয়স্ক লোেক, আর বলের বলে লােহার গােল, কিন্তু তাহলেও যুদ্ধত আপনার দেখিবার মত একটা জিনিষ বটে, আর ফুটবল ম্যাচও তাই। আপনি যে এই খেলার সূক্ষ্ম মার গুলি বুঝিতে পারিবেন, যে সব কসরতের দ্বারা বাজি জিত কিম্বা হার হয়, এরূপ আশা করা যায় না, একজন পাকা খেলােয়াড় না হইলে উহা বুঝা সম্ভবপর নয়। কিন্তু ফুটবলের সাধারণ E - ।। ]| | 1 । H