r টম ব্রাউনের স্কুল জীবন। ভেদ করিয়া ঐ বলটাকে খেদাইয়া লইয়া যাইতে চাও না, স্কুলবাড়ীর গৌরবের জন্য যতই আঘাত লাগুক না বরদাস্ত করিব এরূপ মতলব, তােমাদের নয়, কিন্তু তােম চাও আমরা তাহাই যেন ভাবি, আর সেটা একটা সম্পূর্ণ আলাদা কথা। তােমাদের মত প্রাণী গুলতানের আশপাশ যেখানে কেবল ঠেলাঠেলি কিন্তু লাথালাথির সম্পর্ক মাত্র নাই সেখান , ছাড়া আর বেশীদূর কখনও পৌছিবে না। যে সব ছেলেরা গুলতানের বাহিরে থাকে, তাহার ভিতরে ঢুকিবার কোনরূপ ব্যাট করে না, তাহাদের আমরা অশ্রদ্ধ! করি না। কিন্তু তােমর, আমরা তােমাদের যে কি ভাৰি তা মুখে না বলাই ভাল । তারপর ঐ সব ছেলেরা যাহারা বাহিরে হেঁট হইয়া পাহারা দিতেছে উহাদের লক্ষ্য কর, উহারা বড় কাজের খেলোয়াড়, উহারাই সন্ধানী, যে মুহূর্তে বলটা ধাক্কিয়েদের মধ্য হইতে ও ভূইয়া বাহিরে আসিবে উহারা তখনই উহা সাপটিয়া লইয়া অপর পক্ষের গােলের দিকে ধাওয়া করিবে, তাহারা গুলতানের ভিতর কদাচিৎ যায়, কিন্তু ধাক্কিয়েদের চেয়ে তাহাদের আরও মাথা ঠাণ্ডা রাখা চাই। বালক চরিত্রের বৈশিষ্ট্য ও যেমন অশেষ, ফুটবল খেলায় গুলতানের সম্মুখীন হওয়া বা না হওয়ার প্রকার ভেদেও তেমনই বিচিত্র। | তিন পােয়া ঘণ্টা কাটিয়া গেল। প্রথম দম মরিয়া আসিতেছে, ভারও সংখ্যাধিক্যে ক্রমশঃ জোর ধরিতে লাগিল, এক এক গল্প করিয়া প্রতি ইঞ্চি পরিমাণ জমি বুঝিতে যুঝিতে স্কুলবাড়ী হঠিয়া যাইতে লাগিল। বড় কুত্তার আপাদ মস্তক মতা ধরিত্রীর সহিত সমর্থ হইয়া উঠিল, কেবল ছােট ব্রুক ছাড়া। উহার খাড়া থাকিবার সম্বন্ধে আশ্চৰ্য্যরূপ দক্ষতা ছিল। এইবার স্কুল বাড়ীর কোশ-ঠেসা হইবার পালা, এবং বলা তাহাদের গােলের পিছনে আচার্যের দেওয়ালের নীচেই আসিয়া ১। | | । • •
