পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪ টম ব্রাউনের স্কুলজীবন । ওয়েলের ওখান দিয়ে ঘুরে আসি, ঐটা স্কুল বাড়ীর খাবারের দোকান, সে কি চমৎকারই আলুর কাবাব করে। আমরা চায়ের সঙ্গে খাবার জন্যে দু জনেই এক পেনির করে কিনব, চলে এস, না হলে উঠে যাবে”। টমের নূতন টাকার থলি আর টাকা পকেটের মধ্যে যেন পুড়িতে ছিল। তাহারা চকের ভিতর দিয়া রাস্তায় পড়িয়া টলমল করিয়া যাইতে যাইতে সে মনে মনে তােলাপাড়া করিতে লাগিল যে যদি সে আরও কিছু ব্যয়বাহুল্যের প্রস্তাব করে তাহা হইলে ইষ্ট অপমান বােধ করিবে কিনা, কেন না এক পেনির আলুর উপর তাহার বড় ভক্তি হইতেছিল না। তখন সে একবারে মুখ ফুটিয়া জিজ্ঞাসা করিল “আচ্ছা ইষ্ট আমরা আলু ছাড়া আর কিছু কি কিনিতে পারি না? আমার ত মেলাই পয়সা রয়েছে, তুমি ত জানই।” | ইষ্ট বলিল “হাঃ কপাল, বটেইত, আমি ভুলেই গেছলুম, তুমি যে এই সবে এসেছ। আমার পজি এই আজ বার হপ্তা হল সব ফাক হয়ে গেছে, বুঝলে? প্রথম দুহপ্তর পর আর বড় কিছু থাকে না। আর আজ সকালে জানালা ভাঙ্গার দরুণ জলপানিও বন্ধ হয়েছে। কাজেই আমার হাতে আর একটি পেনিও নাই, তবে শ্যালির খাতায় আমার নামে একটা হিসাব আছে, সেটাকে আমি এই ষষমাহার শেষদিকে আর। বেশী বাড়াতে চাই নে, কেন না ফিরে এলেইত আবার শুধতে হবে, আর সে এক মহা অঞ্জাল” । | টম একথার অনেকখানি বুঝিতে পারিল না, কিন্তু এইটুকু সার গ্রহণ করিল যে ইষ্টের হাতে পয়সা নাই বলিয়া সে তাহার কোন প্রিয় সুখভোজ্য হইতে আপনাকে বঞ্চিত রাশিতে চাহিতেছে। বলিল “আচ্ছ। কি কিনি তবে বল ? আমার বয়ানক খিদে পেয়েছে”। ইষ্ট থমকিয়া দাড়াইয়া তাহার পাটাকে তিরান দিয়া, সেটা ভাল করিয়া একবার 11। L | ] '