পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-- ১১ টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। হাঁফ ছাড়িয়া বাঁচে। উহারা পিঠ ফিরাইতেই তাহারা চৌকীর তল হইতে হামা টানিয়া বাহির হইয়া আসিল। একজন বলিল “ঝোড়ো বাস্তবিক তুরুপের তাস। তারা আর ফিরছে না”। “আর ঐ নতুন ছেলেও কি বল, ওর বুকের পাটা আছে”। “আরে সবুর কর না, একবার লােফানি খেতে গিয়ে মেঝের উপর আছাড় খাক, তখন কেমন ভাল লাগে দেখা যাবে। ইতিমধ্যে ছেলেরা দরদালান দিয়া ৭ নম্বর ঘরে পৌছিল। এই ঘরটা সকলের চেয়ে বড় এবং লােফানির আসর। মাঝে অনেকখানি খালি জায়গা, এইখানে তাহারা অন্য অন্য বড় বড় ছােকরার দলের সহিত মিলিত হইল। প্রত্যেক দলেরই সঙ্গে দুএকজন করিয়া আসামী, কেহ বা লােফানি খাইতে রাজি, কেই গুম ধরিয়া আছে, কেহ বা ভয়ে মৃতবৎ। ওয়াকারের প্রস্তাব অনুসারে গুরুজি ব্রুকের বক্তৃতার খাতিরে যাহারা ভয় পাইয়াছিল তাহাদের সকলকেই ছাড়িয়া দেওয়া হইল। তারপর জন বার জোয়ান ছােকরা বিছানা থেকে একটা কম্বল টানিয়া লইয়া সেটা শক্ত করিয়া ধরিল ।। “দও কােড়ােকে ভিতরে ও জলদি সময় নাই। ইষ্ট ফল মধ্যে নিক্ষিপ্ত হইল। “য়াম, দুই, তিন, হাইও!” আর সেও অমনি সােলার বলের মত উপরে উঠিয়া গেল, কিন্তু একবারে ছাতের তলা পর্যন্ত নয়। ওয়াকার চেঁচাইয়া বলিল নাও এইবার নাও ফুর্তির সঙ্গে এক দুই তিন হইও”! এইবার সে সটান উপরে উঠিয়া গেল এবং হাতের তলায় হাত দিয়া আপনাকে বাঁচাইল। তিনবারের বার এইরূপ করিয়া তাহারা উহাকে ছাড়িয়া দিল। তখন আর একজনকে দােকানি দেওয়া হইল। তারপর টমের পালা। সে ইটের উপদেশ অনুসারে " .