পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭৯ T ঘোড়া হালকায় বসে। নূতন ছেলে বলিয়া, নিজের হকে, টম প্রথম মাস খাটানি মাফ পাইয়াছিল, কিন্তু এই নুতন জীবনের উৎসাহাতিশয্য প্রযুক্ত সে এ অধিকারে সন্তুষ্ট হইতে পারে নাই, এবং অন্যান্য বালবন্ধুগণ ইহা দেখিয়া স্নেহপরবশ হইয়া তাহাকে তাহার খেয়াল চরিতার্থ করিবার অবসর দিয়াছিল, এবং তাহাদের পালায় টম তাহাদের হইয়া রাতখাটানি খাটিতে ও পড়ার ঘর পরিষ্কার করিতে লাগিয়া গিয়াছিল। বাড়ীতে খাটানিয়াদের প্রধান কাৰ্য্য এইরূপ ছিল। সায়াহু ভােজনের পর হইতে নয়টা পর্যন্ত তিনজন করিয়া খাটানিয়া দরদালানে দাঁড়াইয়া থাকিবে এবং যাই কোন প্রিপােষ্টার খাটানিয়া বলিয়া ডাকিবেন অমনই ছুটিয়া গিয়া দুয়ারে হাজির হইতে হইবে এবং যে সৰ্বশেষে পৌছিবে তাহাকে সেই কাৰ্য তামিল করিতে হইবে। সাধারণত এই কায় ছিল মাখনঘর হইতে বিয়ার ও পাঁউরুটি এবং পনীর আনা কারণ মাতব্বরের সকলের সহিত একত্রে সায়াহু ভােজন করিতেন না, কিন্তু প্রত্যেকের বরাদ্দমত আহার্য তাহার পাঠকক্ষে বা পঞ্চম ফৰ্মার ঘরে আনাইয়া লইতেন), বাতিদান সাফ করা, নূতন বাতি বসান, পনীর সেকা, বোতলে বীয়ার পােরা, এবং বাড়ীর মধ্যে খবরাখবর লইয়া আনাগােনা করা। টম বীরপূজার প্রথম উচ্ছাসে বড় ফ্রকের মুকুম তামিল করা এবং তাহার জন্য সায়াহ্ ভজনের দ্রব্য লইয়া আসা পরম গৌরবের বিষয় মনে করিয়াছিল। এই রাত্রির খাটনি ছাড়া প্রত্যেক প্রিপােষ্টারের তিন চারিজন বাঁধা খাটানিয়া ছিল। তিনি উহাদের পরিচালক উপদেষ্টা বলিয়া এবং বন্ধু বলিয়া পরিগণিত হইতেন এবং তাহারাও তদ্বিনিময়ে পর্যায়ক্রমে সকালে অর্থাৎ প্রথম পাঠের অব্যবহিত পরেই এবং প্রাতঃরাশ হইতে প্রত্যাবর্তনের পুর্বে তাহার পড়ার ঘর সাফ করিত। এই সব মহাপ্রভুদের পড়ার ঘর দেখিতে । ।