পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮ টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। করিয়া পরবর্তী মাঠের উপর দিয়া ধাবিত হইল, যেন সে ছুটিতে সবে আরম্ভ করিয়াছে মাত্র। “আগাও’ ধ্বনি ক্রমশঃ ক্ষীণ হইতে ক্ষীণতর হইয়া অবশেষে নিস্তব্ধ হইল। সমস্ত ছুটিয়ের দল শ্রুতিপথের বাহিরে চলিয়া গেল এবং ঠিকানায় পৌঁছিবার আর কোন সম্ভাবনা রহিল না! একটু দম লইয়া মাথা হইতে হ্যাট খুলিয়া মুখ রগড়াইতে রগড়াইতে ইষ্ট বলিয়া উঠিল “চুলােয় যাক, আমিত পূর্বেই বলেছিলাম যে ফলে কি হবে এসে কি বােকামিই করেছি আমরা। এখানে একেবারে নির্দম হয়ে পড়লাম কিন্তু ঠিকানার খুব কাছাকাছি এসেছি তাও বুঝিছি অথচ পথ জানি নে কি করে পেছৰ” এই বলিয়া হ্যাট খুলিয়া ইষ্ট তাহার মুখ রগড়াইতে লাগিল। মুখ কাদায় রিয়া এবং ঘামে ভিজিয়া গিয়াছে আর সেই ঘাম থেকে একটা জমাট বাষ্পের শিশ সেই নিস্তব্ধ ঠাণ্ডা হাওয়ার মধ্যে উঠিতে লাগিল ।। টম মুখ রগড়াতে রগড়াইতে মনের দুঃখ মনে চাপিয়া বলিল “তার ত আর চারা নাই, অন্ততঃ আমরা সাধাপক্ষে কসুর করি নাই, এখন এস আমরা বরং ছোট ব্রুক যে ছােট গলিটার কথা বলল সেইটা খোঁজ করে তাই ধরে বরাবর যাই। ইষ্ট গুমরিয়া উঠিল “তা ছড়া আর উপায় কি” এবং বলিয়া আপন মনে গজ গজ করিতে লাগিল। তারপর তারা ধীরে ধীরে বিসম্বভাবে পিছু হটিয়া গলিটার নাগল পাইল, আর তাহা ধরিয়া খোড়াইতে খোড়াইতে জল কাদা ভাঙ্গিয়া চলিতে লাগিল, এবং এইবার বুঝিতে পারিল যে এই দৌড়ের ফলে তাহারা কি রমক নির্জীব হইয়া পড়িয়াছে। সন্ধ্যা শীঘ্ন ঘনাইয়া আসিল আর আকাশ মেঘে ঢাকিল, চারিদিক অন্ধকার ঠাণ্ডা এবং ভয়ানক নির্জন। - - 1 =