পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঘােড়া হালকায় বসে। ১৮৯ পারি নে! তুমি সময় ঠিকঠাক লিখে রাখতে পার, কি বল”? “আসবা মাত্রেই আচার্যের পড়ার ঘরে হাজির হওয়া চাই—এই হুকুম” এই বলিয়া বুড়া টমাস দরদালামের শেষে আচার্যের বাসগৃহে যাইবার সিড়ি দেখাইয়া দিল । সুতরাং নিতান্ত দুঃখিত চিত্তে তাহারা সেই দিকে ফিরিল, এবং বুড়া দারােয়ানের “আহা, ছেলেগুলোর কি দুর্গতি”! বলিয়া মন্তব্যে তাহাদের উৎসাহ বৃদ্ধি করিল না। টমাস তাহাদের মুখ ও পোষাকের দুর্দশা দেখিয়া ঐ কথা বলিয়াছিল, কিন্তু তাহারা উহা আচার্যের মনােভাক ব্যঞ্জক বলিয়া বুঝিয়াছিল। অল্প কয় পৈঠা সিঁড়ির উপর তাহারা পরামর্শ করিবার জন্য দাঁড়াইল। ট্যাডপােল বলিল কে আগে যাবে? ইষ্ট বলিল “তুমিই-তুমিত সকলের বড়” “যা বল্পে—আমার কি হালটা একবার দেখ দেখি,” এই বলিয়া হল তাহার জ্যাকেটের আস্তিন দেখাইয়া বলিল, “আমি তোমাদের দুজনার পিছনে থাকব। ‘ব, আর আমার দিকে একবার তাকাও দিকি” বলিয়া যে কাদার বােঝা পিছনে করিয়া দাঁড়াইয়াছিল ইষ্ট তাহা দেখাইল। “তােমরা যা তার চেয়ে আমার অবস্থা ভবল খারাপ, আমার পাতলুনে ত কপির চাষ করতে পারা যায়। “ও সব ত নীচের দিকে, তুমিত আড়ালে পা রাখতে পার” হল এই কথা বলিল। “আচ্ছা তবে ব্রাউন তুমিই আমাদের মুখপাত, তােমাকেই আগে যেতে হবে”। টম বলিল “কিন্তু আমার মুখ যে কাদায় ভরে গেছে। “আচ্ছা সে কথা যদি বল তবে আমাদের সকলেরই এক গােত্র, তা হলে চলে এস, এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মাটি ভাপিয়ে লােকসান বই লাভ নাই।”