পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯ । । টম ব্রাউনের স্কুলজীবন' | টম বলিল “আচ্ছা তা হলে সকলে একটু ঝেড়ে ঝুড়ে নিই”। এই বলিয়া তাহারা পরস্পরের জামা থেকে অতিরিক্ত কাদামাটি ঝড়িয়া ফেলিতে চেষ্টা করিল কিন্তু তখন উহা তেমন সুখায় নাই বলিয়া ঘষা ঘষিতে উহা আরও খারাপ হইল। অবশেষে মরিয়া হইয়া ঝুলন দরজা ঠেলিয়া তাহারা আচার্য্যের হলঘরে প্রবেশ করিল। ঐ হচ্ছে পাঠঘরের দরজা” ইষ্ট এই কথা ফিস্ ফিস্ করিয়া বলিয়া সেই দিকে টমকে ঠেলিয়া দিল। ভিতর হইতে হাসি ও সহর্ষ কণ্ঠের আওয়াজ আসিতেছিল, সুতরাং তাহাদের দরজার উপর প্রথম দ্বিধাজড়িত আঘাতে কোন সাড়া আসিল না। কিন্তু দ্বিতীয় ঘা দিতেই আচাৰ্য্য ডাকিলেন “ভিতরে এস,” আর টম হাতল ঘুরাইয়া আগে আর পিছনে অপর দুইজন একপাশ হইয়া ঘরের মধ্যে প্রবেশ করিল । আচাৰ্য্য হার কাষ হইতে মুখ তুলিয়া চাহিলেন, তিনি একখানা মস্ত বাটালি দিয়া একটি ছেলেদের পাইলতােলা জাহাজের তলা বানাইতে ছিলেন এবং নিঃসন্দেই নিশিয়সের জাহাজের আদর্শে তিনি উহার গড়ন দিতেছিলেন; কক্ষের স্নেই সে দিকে কেতাব পত্রে ঢাকা একটা বড় টেবিলের উপর বাতিগুলি জ্বল জ্বল করিয়া জ্বলিতেছিল, এবং একটা মশু আগুন কক্ষের অপর অংশে রক্তিম আভা বিকীর্ণ করিতেছিল। সমস্ত এমন অনাড়ম্বর, সদয় ও সুখদ দেখাইতেছিল যে বালকেরা মুহূর্তমধ্যেই হৃদয়ে বল পাইল, এবং টম বৃহৎ সােফার আড়াল ছাড়িয়া সমুখে আসিয়া দাড়াইল। আচাৰ্য পুত্রকন্যাদের শিক্ষালন করায় তাহারা এই তিনটি তরুণ বিভীষিকা-মূৰ্ত্তির দিকে কৌতুকপূর্ণ কুতুহল দৃষ্টি নিক্ষেপ করিতে করিতে বাহির হইয়া গেল। | আচাৰ্য তখন আগুনের দিকে পিঠ রাধিয়া খাড়া হইয়া দাঁড়াইয়া, |