পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। সাহেবী চালে বাহির হইয়া পড়িল, পকেটে মাত্র তখন পাঁচ শিলিং স, এবং বাড়ী পৌছিতে এখনও বিশ মাইল দূর। * কোথায় যাবেন মশায় ? “রেড, লায়ন ফ্যারিংডন” এই ঠিকানা দিয়া টম অশ্বপালকে এক শিলিং বখশীষ দিল। | “যে আজ্ঞ মশায়। রেড, লায়ন হে জেম” বলিয়া অশ্বপাল গাড়ােয়ানকে জানাইল; আর অমনি টমের গাড়ী ঘর ঘর করিয়া রওনা হইল, ফ্যারিংডনে সরাইওয়ালার সহিত পরিচয় থাকায় সেই মুরুব্বিকে ধয়িয়া অক্সফোর্ডের ঘােড়া গাড়ীর ভাড়া চুকাইয়া আর একখানা বগী গাড়ী আনাইয়া টম রওনা হইল, এবং এইভাবে মহা জাকজমকের মাহিত কুমার বাহাদুর পৈতৃক ভদ্রাসনে আসিয়া পৌছিলেন, স্কোয়্যার মহাশয় কেবল অক্সফোর্ড হইতে গাড়ীভাড়া বাবদ দু পাউণ্ড দশ শিলিং খরচ দিতে ত চক্ষুস্থির; কিন্তু পুত্রের বাড়ী আসার বিপুল আনন্দ, তাহার চমৎকার স্বাস্থ্য, স্কুল হইতে সে যেরূপ সুনাম লইয়া আসিয়াছে, এবং রাগবির সম্বন্ধে, সেখানকার কাজকর্ম ও আমােদআলাদের সম্বন্ধে, যে সমস্ত উৎসাহপূর্ণ গল্প বলিতে লাগিল তাহা দেখিয়া শুনিয়া স্কোয়্যারের মন নরম হইল, এবং সেই দিন যখন স্কোয়্যার নিজে ও তাঁহার স্ত্রী এবং প্রথম ষষমাহ অন্তে রাগবি হইতে প্রত্যাগত টম ব্রাউন একত্রে ছটার সময় ডিনারে বসিলেন (এই ছটার সময় টমের প্রথম ডিনার ভোজন, সুতরাং অতি সত্বর পদােন্নতি বলিতে হইবে। সেদিন তাহাদের চেয়ে বেশী সুৰী তিনটি প্রাণী সমস্ত রাজ্যের মধ্যে আহায়ে বসিয়াছিল বলিয়া মনে হয় না। .।' H