পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

' । ১৯৮ টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। ছিল। এখানে আসিয়া কত ধেড়ে মুখ ছেলেরা আটকাইয়া পড়িত যাহারা জানান্তে কখনও ব্যাকরণের বিভক্তি বা প্রত্যয় আয়ত্ত করিতে পারিত না, ছােট ছেলেদের নিকট পৰ্যায়ক্রমে তাহারা কৌতুক ও ভীতির বস্তু ছিল। উহারা পাঠের সময় তাহাদিগের ভুল ধরিত এবং নানারূপ পরিহাস করিত এবং সেজন্য খেলার সময় লাথি খাইত। কমপক্ষে তিনজন মন্দভাগ্য ‘সপুচ্ছ’-কোটধারী ছোকরা ছিল, চিবুকে শ্মশ্রুর রেখা দিয়াছে, আচাৰ্য মহাশয় এবং ক্লাসের মাষ্টার মহাশয় তাহাদিগকে উচ্চতর শ্রেণীতে ঠেলিয়া উঠাইবার জন্য সর্বদাই সচেষ্ট ছিলেন, কিন্তু উহাদের পদপরিচয় এবং ব্যাখ্যা তাহাদের সদিচ্ছাপ্রণােদিত সমুদয় চেষ্টা ব্যর্থ করিয়াছিল। তারপর ক্লাসের ছাত্ৰসাধারণ, ইহাদের এগার হইতে বার বৎসর বয়স, ইংরাজ ছেলেদের মধ্যে কাণ্ডজ্ঞানহীনতার এবং দুরন্তপনার এই বয়সেই চরম বিকাশ। ইষ্ট এবং টম ব্রাউন তাহার খাটি নমুনা। বানরের মত ধূ, আইরিশ স্ত্রীলােকের মত ছুত-বাজ, মাষ্টারদের এবং নিজেদের মধ্যে এবং নিজেদের পড়া লইয়া নিয়ত ঠাট্টা পরিহাসে রত, বয়ং আগাস ও তাদের উপর নজর রাখিতে হার মানিয়া যাইতেন। আর যদি একাদিক্রমে আধ ঘণ্টাকাল তাহাদের সুস্থির রাখার কথা বল তাহলে সে ত নিতান্ত দুরাশা মাত্র। ফৰ্ম্মার বাকি ছাত্র নয় দশ বৎসরের তিধর, প্রতি মাহে এক এক শ্রেণী ডিঙ্গাইয়া আসিতেছে, আর সকল ছেলেদের হস্ত ও বুদ্ধি তাহাদের ঊর্ধ্বগতির বিরুদ্ধে সমুদ্যত। এই অকালপরিপক্ক বালকগুলির উপর যাহাতে অবিচার না হয় তাহার তত্ত্বাবধান করাই একজনের পক্ষে যথেষ্ট কাজ ছিল। কিন্তু মাষ্টার মহাশয়কে আরও অনেক কাজ করিতে হইত বলিয়া তিনি সে দিকে তেমন মনোযােগ করিতে পারিতেন না। কাজেই তাহার প্রায়ই হয় ঠেলা খাইয়া ক্লাসে তিন চারি পদ করিয়া হঠিয়া যাইতেছে, না হয়