পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

। २१५ টম ব্রাউনের স্কুলজীবন । করিত যে চাঁদা দেওয়া অবশ্যকর্তব্যের মধ্যে, এবং সেই কৰ্তব্য ছােট ছেলেদের পক্ষে সহজসাধ্য করিবার নিমিত্ত বরাদ্দ টাকা বিলি হইবার সময় এক থেকে হস্তগত করিয়া লইত। ইহাতে খুতমুত করিয়া কোন ফল নাই। সুতরাং সে দিন সেই অনুপাতে ফুলুরি ও আপেল খরচ এবং ফাইভস বল খরিদ অন্য দিন অপেক্ষা কম করিতে হইত, এবং তালাবন্ধের পর, যখন অন্যথা সমস্ত টাকা খরচ হইয়া যাইবার কথা তখন রাত খাটানিয়াদের দরদালান দিয়া স্কুল বাড়ীর খেলােয়াড় ভদ্রমশায়গণ, আসুন হলঘরে সুরতি টানা হবে” ইত্যাকার চীৎকারধ্বনি অনেক ছােট ছেলের প্রাণে সান্ত্বনা বহন করিয়া আনিত। খােলােয়াড় ভদ্রমহাশয় কথাটা শুনিতে মিষ্ট, তারপর কোন পেয়ারা ঘােড়র নাম তােলারও সম্ভাবনা আছে। আজ হলঘর ছেলে পরিপূর্ণ, এবং একখানা লম্বা টেবিলের মাথার দিকে খেলােয়াড় সম্প্রদায় দণ্ডায়মান, সামনে একটা হ্যাটের মধ্যে টিকিটগুলি সব ভাজ করিয়া পােরা, তখন তাহাদের মধ্যে একজন বাড়ীর লিষ্ট হইতে নাম ডাকিতে লাগিল, প্রত্যেক ছেলে তাহার নাম ডাকা হইবামাত্র হ্যাট থেকে একখানি করিয়া টিকিট টানিয়া খুলিয়া দেখিতে লাগিল, অধিকাংশ বড় বড় ছােরারা তাহাদের টিকিট টানার পরে পড়ার ঘরে কি পঞ্চম ফৰ্ম্মার ঘরে চলিয়া গেল। খেলােয়াড় সম্প্রদায় সকলেই ফক্কা টানিয়াছে, সুতরাং তাহাদের মেজাজ বিগড়াইয়া গিয়াছে। পরে ঘােড়া এপর্যন্ত একটিও কেহ টানে নাই, অথচ উচ্চ-চতুর্থের পালা আসিয়া পড়িল, তখন থেকে যাই একটি ছােট ছেলে তাহার টিকিট টানে অমনই ফ্ল্যাশমান বা তাহার পার্শ্ববর্তী আর একজন থপ করিয়া ধরিয়া উহা খুলিয়া দেখে, কিন্তু বেঙ্গাচির পালা না আসা পর্যন্ত কোন বিশেষ ডাকসাইটা ঘােড়র নাম । . ।। ।। ..