পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২ ২২৪ টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। উপর ঝুকিয়া পড়িয়া হাত বাড়াইল, তাহার মুখ তখন রাগে কাল হইয়া । উঠিয়াছে। ।। - - - টিকিট-উন্মােচনকারী ভিতরে তেমন মন্দ লােক নয় ও ফ্ল্যাশম্যানের তেমন অনুরাগী নয়, সে বলিল “আহা, তা আর তুমি নেবে না।” তারপর “এই নাও ব্রাউন ধর’ বলিয়া টমের হাতে টিকিট দিল, আর টমও উহা তৎক্ষণাৎ পকেট-জাত করিল। অনন্তর ফ্ল্যাশম্যান সটান দুয়ারের কাছে চলিয়া গেল যে টম আর তাহার টিকিটনা যেন হাতছাড়া নয় এবং যতক্ষণ টিকিট টানা শেষ না হইল এবং সব ছেলেরা চলিয়া না গেল ততক্ষণ সেইখানে দাঁড়াইয়া পাহারা দিতে লাগিল। রহিল বাকি খেলােয়াড় সম্প্রয়ের জন পাঁচ ছয় যাহারা খাতা মিল করিতে এবং বাজি ধরিতে লাগিল, আর রহিল টম; সে ফ্লাশম্যান দুয়ারে থাকিতে নড়িতে চায় না, আর ইষ্ট ও বিপদ গণিয়া বন্ধুর কাছছাড়া হইল না। | এইবার খেলােয়াড়েয় দল টমকে ঘিরিয়া দাঁড়াইল, সাধারণের অভিমত সত্য সত্য টিকিটনি জোর করিয়া অপহরণ করা অনুমােদন করিবে না, কিন্তু ভােগা দিয়া হউক, ভয় দেখাইয়া হউক, টিকিটখানি সম্পূর্ণ বা আংশিক ভাবে অল্প মূল্যে বিক্রয় করিতে বাধ্য করা বৈধ ছিল। ' “আচ্ছা, ব্রাউন, কততে হার্কওয়ে আমাকে বিক্রি করবে বল, আমি শুনছি ও দৌড়বে না। আমি ওর জন্যে পাঁচ শিলিং দিব।” যে বালক টিকিট খুলিয়াছিল সে এইভাবে আরম্ভ করিল। টম তত উপকার গণ করিয়া, বিশেষ তাহার এই নিঃসহায় অবস্থায় একজন বন্ধু লাভের প্রত্যাশায় তাহার প্রস্তাবিত দুরে রাজি হয় আর কি এমন সময়ে আর একজন বলিয়া উঠিল “আচ্ছা আমি তােমায় সাত শিলিং দিব।” টম ইতস্ততঃ করিয়া একজনের হইতে আর একজনের মুখ তাকাইল। , । ।