পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৩ দৈবদুর্বিপাকের এক পর্ব। হয় ঠিক তদ্রুপ অবস্থাই হইতসকলেই আড়াল বাগে ছুটিত ; একজন ছােট ছেলে হয়ত সােফার নীচেই সাধাইল, আর একজন হয়ত টেবিলের তলায় ঘুষিয়া গেল, আর ঘরের মালিক ততক্ষণ দুই একখানা বই পাড়িয়া পাতা খুলিয়া বিনরে বলিল “কে ডাকে?” আর চারিদিকে সন্ত্রস্তভাবে চাহিয়া দেখিতে লাগিল যে কোথাও একখানা উদগত ঠ্যাং বা কনুই সকল কথা ফাস করিয়া দিলে বা। “শী দোরখােল হে। আমি মুক”। “ও তুমি মুকস, বড় দুঃখিত হচ্ছি। আমি বুঝিতে পারিনি” বলিতে বলিতে, চমৎকার কল্পিত আগ্রহে গুণধর তখন দুয়ার খুলিয়া দিল এবং মনে মনে কামনা করিতে লাগিল যে হতভাগা কসের আগমন ঘটিত হুড়মুড়ির শব্দ উহার কানে যেন না গিয়া থাকে। যদি পড়ার ঘর খালি দেখিল, তা হইলে মুকস্ তখন পলাতকের সন্ধানে পথদালানে ‘টানা দিতে চলিয়া গেল। যাক একদিন সন্ধেবেলায় উপরিউক্ত নিষিদ্ধ সময়ে টম ও ইষ্ট হলঘরে বসিয়াছিল। তাহারা দুয়ারের সব চেয়ে কাছের অগ্নিকুণ্ডের সম্মুখস্থ আসনে বসিয়াছিল। আর ডিগ যথারীতি সেই সে ধারের আগুণের সমুখে হাত পা ছাড়িয়া লম্বা হইয়া শুইয়াছিল। সে এক মস্ত কবিতার কাগজ লইয়া ব্যাপৃত ছিল, আর টম ও ইষ্ট আগুণের আলোতে বসিয়া ফিফাস করিয়া আলাপ করিতেছিল, এবং একখানা পুরাণ পছন্দসহি ফাইভস্ ব্যাট মেরামত করিতেছিল। এমন সময় সব শেষ দিকের পথদালান দিয়া পায়ের শব্দ শােনা গেল, তাহারা কান পাতিয়া ধারনা করিল যে প্রিপােষ্টরের পদশব্দ নয়, তখন পুনরায় নিজেদের কাজে মনােনিবেশ করিল আর অমনি দুয়ার সজোরে খুলিয়া ফ্ল্যাশমান ভিতরে প্রবেশ করিল। সে ডিগসূকে দেখিতে পায় নাই, এবং ভাবিল ইহাদের পিছনে লাগিবার, এই উত্তম । ।