পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩ টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। হেঁট হইয়া দেখিয়া ভয়ে জ্ঞানশূন্য হইয়া চীৎকার করিয়া বলিল-“উঃ, ভয়ানক রক্ত পড়ছে-ইষ্ট, ডিগস এধারে এস ত, এ মারা যেতে বসেছে"। | আস্তে সুয়ে টেবিল থেকে নামিতে নামিতে গিস বলিল “রবার ছেলে নয়, সব চালাকি, কেবল শেষ পর্যন্ত লড়বার সাহস নেই তাই”! ইষ্ট ও টমের মতই ভয় পাইয়াছিল। ডিগস ফ্ল্যাশম্যানের মাথা তুলিয়া ধরিল আর সে গােঙাইয়া উঠিল। ডিগস চেঁচাইয়া বলিল “কি হয়েছে তােমার”? ফ্ল্যাশম্যান ফোপাইয়া উঠিল “আমার মাথার খুলি ফেটে গিয়েছে” # “ও, তা হলে আমি ভাণ্ডারণীর কাছে ছুটে যাই ( হায়, হায়, কি করব তবে!” বলিয়া টম চেঁচাইয়া উঠিল। নিষ্ঠুর ভিগস মাথা টিপিয়া টুপিয়া বলিল-“ঘােড়ার ডিম, কিছু দুই হয় নি, চামড়াটা একটু কেটে গেছে মাত্র। একটু ঠাণ্ডা জলের পটি দিলেই সেরে যাবে”। ফ্ল্যাশম্যান তখন উঠিয়া বসিয়া রুক্ষরে বলিল “দাও ছেড়ে দাও। তােমাকে আর আমায় সাহায্য করতে হবে না”। “আমরা বাস্তবিক ভারি দুঃখিত,” বলিয়া ইষ্ট ভূমিকা করিতেছিল“দুলােয় যাক তােদর দুংখ । এর প্রতিফল তােদের পেতে হবে বলে রাখছি,” বলিয়া ফ্ল্যাশম্যান সেই স্থানটা রুমাল দিয়া টিপিয়া ধরিয়া হলঘর হইতে বাহির হইয়া গেল। তাহার শত্রুকে এমন সহজ ভাবে চলিয়া যাইতে দেখিয়া আশ্বাসের এৰু সুগভীর নিশ্বাস ত্যাগ করিয়া টম বলিল “তা হলে তেমন বেশী কিছু হয়নি”। ডিগস বলিল “তাত নয়ই; আর ও কখন তােমাদের পেছনে লাগবে না দেখাে , কিন্তু একি, তােমার যে কলার রক্তে