পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৪ দৈবদুর্বিপাকের এক পর্ব করিত, টম ও ইষ্ট এখন মাছের মত সাঁতার কাটতে শিখিয়াছিল এবং তাহারা এখানে ঘড়ীর কাটার মত নির্দিষ্ট সময়ে হাজির থাকিত, দিনে দুবার ত বটেই, অনেক সময় তিন বারও। এভন নদীর এই সমস্তখানি অংশে ইচ্ছামত মাছ ধরিবারও অধিকার বালকদের ছিল, অথবা অধিকার ছিল বলিয়া তাহারা মনে করিত। কিন্তু তাহারা একথা বুঝিত না যে এরূপ কোন স্বত্ব থাকিলেও উহা নদীর এপারেই, অর্থাৎ রাগবির দিকেই নিবদ্ধ ছিল। দুর্ভাগ্যক্রমে যে ভদ্রলােক নদীর অপর পারের মালিক ছিলেন, তিনি কিছুদিন বিনা অপত্তিতে ধরিতে দিয়া পরে রক্ষীদিগকে আদেশ দিয়াছিলেন যে তাহার পারে ছেলেদের আর মাছ ধরিতে না দেয়, ফলে রক্ষী ও বালকদিগের মধ্যে প্রথমে বকাবকি পরে মারপিট হইয়াছিল এবং শেষে বিবাদ এতদূর পাকিয়া উঠিয়াছিল যে একজন রক্ষীকে নদীতে চোবানি দেওয়ার পর ও তৎসূত্রে এক ভয়ানক মারপিট হইয়া জমিদার ও ভৃত্যগণ একদিন নাম ডাকের সময় অপরাধীদের সনাক্ত করিতে একেবারে বড়-স্কুলে আসিয়া হাজির হইয়াছিল, এবং সেদিন স্বয়ং আচাৰ্য ও পাচ ছয় জন মাষ্টার মিলিয়া যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াও শান্তি রক্ষা করিতে বিশেষ বেগ পাইয়াছিলেন। এমন কি সে দিন তাহার শাসনও অবজ্ঞাসূচক হিহিস ধ্বনি নিবারণ করিতে সমর্থ হয় নাই, এবং বালকদিগের মধ্যে উত্তেজনা এমন প্রবল হইয়াছিল যে সেই সপ্তাহের চারিজন পিপ্রােষ্টারকে বেত উঠাইয়া যথাসম্ভব উচ্চকণ্ঠে “চু-উ-উ-প-প,” হাঁকিতে হাঁকিতে স্কুল-ঘরের এধার পৰ্য্যন্ত ছুটিয়া আসিতে হইয়াছিল। যা হােক্, সেবারকার মত প্রঋন অপরাধীদের বেত্ৰদণ্ড দিয়া গণ্ডীগত করা হইয়াছিল, কিন্তু জয়ীপক্ষ সত্য সত্যই বিষম ভিমরুলের চাকে খোঁচা দিয়াছিল। জমিদার স্কুলের ফটক দিয়া ঘােড়ায় চড়িয়া যাইতেই সকলেই তাহাকে টিটকারি দিত, আর T। |