. ২৪ টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। যখন তিনি ঘােভা লইয়া ছেলের দলকে তাড়া করিতেন এবং চাবুক দিয়া প্রহার করিতে চেষ্টা করিতেন, তখন তাহারাও ক্রিকেট ব্যাট ও উইকেট চালাইয়া তাহাকে হটাইয়া দিত, এবং মুড়ী ও ফাইভ স বল নিক্ষেপ করিতে করিতে তাহার অনুসরণ করিত, আর হতভাগ্য আগলদারদের জীবন আগাড়-নাগাড় জল চৌকি দিতে দিতে ত এক রকম দুর্বহই হইয়া পড়িয়াছিল। টমের সমশ্রেণীর স্কুল-বাড়ীর ছেলেরা সকলেই এইরূপ জবরদস্তির ও তাহাদের ন্যায্য আমােদর বিষ্ণু দেওয়ায় প্রতিবাদ স্বরূপ, সৰ্বরকমে বিশেষতঃ রাত্রে তগী ফেলিয়া মাছ ধরিতে আরম্ভ করিয়া দিল। শহরের প্রান্তভাগে যে ক্ষুদ্রকায় সূত্রকার বাস করিত সে এই রাগটা আরও কিছুদিন থাকিলে বেশ গুছাইয়া যাইতে পারিত, এবং এই দেখাদেখি কয়েক জন নাপিতও সূতার আঞ্জাম রাখিতে আরম্ভ করিয়াছিল। শত্রুপক্ষের উপর বালকদের এই সুবিধা ছিল যে তাহারা দিবসের অধিকাংশ সময় প্রকৃতিদত্ত পরিচ্ছদে নদীর ধারেই কাটাইত, সুতরাং সঁতার দিয়া ক্লান্ত বােধ করিলেই ওপারে গিয়া মাছ ধরিতে না হয় রাত্রির জন্য তগী পাতিতে লাগিয়া যাইত, এবং তারপর আগলদায় দেখা দিলেই ঝাপ দিয়া পড়িয়া সঁতার কাটিয়া এধারে আসিয়া আনকারীদের দলে মিশিয়া পড়িত, আর আগলদারেরা নদী পার হইয়া এধায়ে আসা সুযুক্তি বিবেচনা করিত না। যখন অবস্থা এইরূপ তখন একদিন টম ও আরও তিন চালিনে মিলিয়া ব্যাটিসলয়ের ঘাটে স্নান করিতেছিল, এবং অবশ্যই রাত্রির অগী উঠাইয়া পুনরায় ভাল করিয়া পাতিতেহি। তাহারা জল ছাড়িয়া, গায়ে মাত্র একটি কামিজ হইতে আরম্ভ করিয়া নানা রকম ভেলে, কে । গলিয়া কেহ বা দাড়াইয়া, বেশ পরিবর্তন করিবার উলেগ করিতেছে, এমন সময় দেখিতে পাই যে একজন লােক ভেলভেটনি অর্থাৎ সূতী । ৭ |
} |
