পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৯ । দৈবদুর্বিপাকের এক পর্ব। মখমলের কোট পরিয়া নদীর অপর দিকে আসিতেছে। সে একজন নুতন আগলদার, সুতরাং তাহারা তাহাকে চিনিল না বা লক্ষ্য করিল না, কিন্তু পরক্ষগেই লোকটা ঠিক মুখোমুখি আসিয়া খাড়া হইয়া দাড়াইল এবং বলিল-“এই এক্ষুণি এপারে আপনারা কজন মাছ ধরছিলেন যে দেখলাম।” “বাঃ রে, তুমি কে হে? তােমার সে খোঁজে কাজ কি, বাবা সূতীমখমল”। “আমি নতুন দর-আগলদার, কৰ্ত্তা তােমাদের মত ছােকরাদের উপর কড়া নজর রাখতে বলেছেন। আর বলে রাখছি আমি কাযে ভুলবার লােক নয়, তােমরা তােমাদের পারেই থেক, তালে। আমার সঙ্গে বাধবে'। “বাঃ, বল্লে ভাল সূতীমখমল—তা তােমার মতলবটা কি খুলেই বল না” ? ইষ্ট তখন কয়েকটা কদৰ্য্য আমাছ ও একটা ছােট জ্যাক তুলিয়া ধরিয়া বলিল “হাতে দোখে সাঙ্গাত এগুলাে কোন পারের মাছ একবার কে দেখবে কি ? টম কামিজ গায়ে পা দিয়া জল ছানিতে ছিল, সে চীৎকার করিয়া বলিল “দেখাে আগলদার, আমি যুক্তি দিই শােন—তুমি ঐ সুইফটের ঘাটে যাও, সেখানে বড় ছােকরারা আছে, হাত সূতাে পাততে মহা ওস্তাদ, আড়াইসেরা গুলাে কেমন করে পাকড়াতে হয় তোমাকে দু একটা হদিস বাতলে দেবে।” টমই আগলদারের সব চেয়ে কাছে ছিল, সে এই তামাসায় উষ্ণ হইয়া আমাদের নায়কের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করিল, যেন ভবিষ্যৎ প্রয়ােজনের নিমিত্ত ভাল করিয়া চিনিয়া রাখিতে চায়। টম তাহার স্থির দৃষ্টি অবিচলিত বিস্ফারিত দৃষ্টির দ্বারা ফিরাইয়া দিয়া হাসিয়া উঠিল এবং স্কুলৰাড়ীর একটি প্রিয় সঙ্গীতের মাঝখান হইতে গাহিল আমি যবে দোসর সাথে পাততে ছিলাম ফার | | |