পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

' । । । দৈবদুর্বিপাকের এক পর্ব। ২৫১ সুতরাং এক সুন্দর বৃহস্পতিবার প্রদোষে টম ইষ্টের নূতন ছিপগাছটি চাহিয়া লইয়া নদীর দিকে গেল। কিছুক্ষণ চেষ্টা করিয়া বিশেষ কোন ফল হইল না, একটা মাছও তাহার টোপের কাছে জাগিল না, কিন্তু নদীর ধারে শিকারের চেষ্টায় ঘুরিয়া বেড়াইতে বেড়াইতে বুঝিল যে ও পারে প্রকাণ্ড একটা উইলো গাছের ছায়ায় একটা দয়ের মধ্যে অনেকগুলা বড় বড় মাছ ‘আধার’ খাইতেছে। এই খানে নদী গভীর, কিন্তু আন্দাজ পঞ্চাশ গজ নীচে, একটা যায়গায় জল কম, হাঁটিয়া যাওয়া যাইতে পারে। চকিতের মধ্যে টম সেই দিকে ছুটিল, এবং জমিদার, আগলদার, আচার্যের কঠিন নিষেধ সব ভুলিয়া, ইজার গুটাইয়া নামিয়া পড়িল এবং মিনিট তিনেকের মধ্যে উইলােঝাড়ের দিকে হামাগুড়ি দিয়া যাইতে লাগিল। ‘গ্রেটচাব’ বা অন্য অপকৃষ্ট মাছ কখন সুস্থির ভাবে বড় একটা কিছু করে না, কিন্তু এ ক্ষেত্রে আবার খাইবার জন্য তাহারা বদ্ধপরিকর হইয়া বসিয়াছিল, এবং অর্ধ ঘন্টার মধ্যেই টমের ধৃত তিনমূৰ্ত্তি সেই প্রকাণ্ড উইলাে-বৃক্ষের মূলে আপসাইতে লাগিল' আরও একটা আধসেরার জন্য সে টোপ গাঁথিয়া ফেলিতে যাইবে এমন সময় টের পাইল কে একজন নদীর ধার দিয়া আসিতেছে, একশ গজ তফাতও হইবে না। দ্বিতীয়বার চাহিতেই বুঝিল যে সেই দর-আগলদার। ছুটিয়া সামনের গাছে পৌছিতে পারে কি? না ছিপ লইয়া নয়। ঐ গাছ ছাড়া গত্যন্তর নাই। সুতরাং টম ছিপ টানিতে টানিতে প্রাণপণে গাছ বাহিয়া উঠিতে লাগিল। দশফুট উপরে একটা মস্ত ডাল জলের উপর দিয়া চলিয়া | গিয়াছে। সে যাই সেটার উপরে গুড়ি মারিয়া বসিয়াছে, অমনি আগলদার উইলাে ঝাড়ের নিকটে আসিয়া পোঁছিল। সে গাছের তলায় আসিতে টমের বুক ধড়পড় করিয়া উঠিল, আর দুপা হইলেই সে