পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৫ টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। চলিয়া যায়, এমন সময় দুর্দৈবক্রমে মরা মাছের আঁইশের চচকানি তাহার নজরে পড়িল, আর অমনি সে গাছের তলায় খুটি হইয়া দাঁড়াইল। সে একে একে মাছগুলি উঠাইয়া দেখিল; চেহারা দেখিয়া ও হাতদিয়া বুঝিল যে ঘণ্টাখানেক পূর্ষে উহারা জীয়ন্ত ছিল ও আধার। খাইতেছিল। টম গাছের ডালে আর ও গুড়ি ডি মারিয়া বসিল, এবং শুনিতে পাইল আগলদার ঝড় ঠেঙ্গাইতেছিল। “যদি আমি এই ছিপটে কেবল লুকতে পারতাম” বলিয়া সে উহা আস্তে আস্তে সরাইয়া নিজের পাশে লম্বালম্বি করিয়া লইতে চেষ্টা করিতে লাগিল। উইলােগাছ ত হিকরি গাছের মতন সটান নিষ্পত্র বারফুট লম্বা ডাল ছাড়ে না, এই যা দুঃখ”। হায় হায় ! এই বার আগলদার খসখসানি শুনিতে পাইল, তারপর ছিপগাছা ও টমের হাত ও বাহু ও তাহার নজরে পড়িল। সে ছুটিয়া গাছের নীচে গিয়া বলিল “ও বটে, তুমি বুঝি গাছের উপর, এক্ষুণি নেমে এস বলছি”। টম কিছু না বলিয়া যতদূর সম্ভব আড়ালে ঘেঁষিয়া রহিল ; ভাবিল অবশেষে গাছে কয়েদ”, ভাবিয়া দাঁড়াটার ভাঁজ ভঙ্গিয়া টুকরা টুকরা করিয়া লইতে লাগিল। “যদি উপােস রেখে তাড়াতে পারি, তবেই, নইলে ত বেগতিক দেখছি”। তারপর চিন্তা করিল ডাল ধরিয়া গিয়া জলে ঝাঁপাইয়া পড়িয়া হেঁচড়াহেঁচড়ি করিয়া ও পারে উঠা যায় কিনা; কিন্তু ছােট ডালগুলা এত ঘেঁষ ঘেষ, আর ও দিকের পাড়টা এমন খারাপ, যে আগলদার তাহার পঁহুছিবার পূর্বেই গাধ দিয়া ঘুরিয়া আসিবার যথেষ্ট সময় পাইবে, সুতরাং সে কল্পনা ত্যাগ করিল। পরক্ষণেই শুনিতে পাইল যে আগলার গয়ংই হেঁচড়াইয়া গাছে চড়িতেছে। সুতরাং সেও হামাগুড়ি দিয়া কাণ্ডের সহিত যেখানে শাখার ষােগ হইয়াছে সেইখানে আসিয়া ছিপ উচাইয়া দাঁড়াইল।