পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৭ স্রোত ফিরিল। আমি ইতিপূর্বে স্কুলবাড়ীর প্রার্থনার বিবরণ দিয়াছি, অন্যরাত্রে যেমন হইয়া থাকে আজও তাহাই, তফাতের মধ্যে যে সকল ছাত্রের ফিরিতে বিলম্ব হইয়াছিল তাহাদের স্থান ফঁক ছিল, এবং সেই সে ধারের টেবিলের গায়ে নূতন ছেলেরা সারবন্দি হইয়া দাঁড়াইয়াছিল, নানা ধরণের নানা আকারের ছেলে, যেন সব ভালুক বাচ্ছা, জীবনের সমস্ত দুর্ভোগই সামনে লইয়া দাঁড়াইয়া আছে—এই কথাই টমের বাবা টমকে তদবস্থায় বলিয়াছিলেন এবং আজ যখন সেই ছেলের সারির দিকে তাকাইয়া তাহার মধ্যে ছােট্ট কাহিল আর্থারটিকে দেখিতে পাইল তখন টম ও সেই কথাই ভাবিল, এবং সেই কথাই ভাবিতে ভাবিতে প্রার্থনা শেষে টম আর্থারকে উপরতলায় ৪নং ধরে লইয়া গিয়া তাহার বিছানা দেখাইয়া ছিল। এই ৪নং একটা প্রকাণ্ড দরাজ ঘর, স্কুলের হাতার দিকে মুখ করিয়া দুইটা বড় বড় জানালা, ঘরখানায় বারটি বিছানা। ঐ সর্বশেষ দিকে অগ্নিস্থলীর কাছে যে বিছানা উহা এক ষষ্ঠ ফরমের ছাত্রের, সেই এই ঘরের শাসন রক্ষার জন্য দায়ী, আর বাকী সব বিছানা নিম্ন পঞ্চম বা তদপেক্ষা নিম্ন শ্রেণীর ছাত্রের দ্বারা অধিকৃত, সকলেই খাটানিয়া, কারণ পূর্বেই বলিয়াছি পঞ্চম ফরমের ছাত্রের অন্যঘরে স্বতন্ত্র ভাবে ইত। খাটানিয়াদের মধ্যে যে সকলের বড়, সেও যােব বছরের বেশী হইবে না, এবং তাহাদের সকলকেই রাত্রি দশটার মধ্যেই ঘরে বিছানায় ঢুকিতে হইত; যষ্ঠ ফরমের ছাত্রেরা রাত্রি দশটা স’দশটার সময় শুইতে আসিত, এবং সেই সময় বুড়া সর্দার অতি নিভাইতে আসিত, কেবল যষ্ঠ ফরমের ছেলেরা যখন রাত জাগিয়া পড়িত তখন ছাড়া। সুতরাং তাহাদের আসিবার কয়েক মিনিটের মধ্যেই, অঙ্গ যে সব ছেলেয় নম্বরে শুইত, সকলেই আসিয়া পৌছিলে। ছােট ছােট ১৮