পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মূছন ছেলে। ২৮৩ করিতে ছাড়ে নাই। কিন্তু তারা যখন অন্যরূপ ধুক্তির আশ্রয় লইত, তখন টমের মনে বিষম ধোকা লাগত। ইষ্ট বলিত “আদত কথা কি, টম, তুমি বড় বেশী আতুপুতু করে তােমার দুলালটির পরকাল মাটি করবে। তুমি তাকে ছেড়ে দাও না কেল, সে নিজে চরে খেতে শিখুক, আর নিজের ওজন বুঝে নিক। তা না হলে তুমি যদি সর্বদাই তাকে আঁচল দিয়ে ঢেকে রাখ তা হলে কখনও ওর এক কড়ার মুরদ হবে না।” “বটে কিন্তু নিজে লড়ে পথ পরিষ্কার করে নেবার মত ও বে এখনও যােগ্যই হয় নি। আমি ত সেই ভাবেই ওকে গড়ে তােলবাজ জন্য রােজ রােজ চেষ্টা করছি। কিন্তু সে বড় যেন কেমন ধারা। আহা বেচারী, আমি যে ওর কোন মৰ্ম্মই পাই না। আমি এমনটি কখনও দেখিও নি, শুনিও নি, সে যেন সর্বদাই শিউরে রয়েছে। একটা কথা বললেও তার গায়ে যেন ছুরীর নয়ত ঘুষির মত লাগে।” ইষ্ট বলিল ওরকম ছেলের এখানে কিছুতেই পােষবৈ না, কেবল নষ্ট হয়ে যাবে। তার চেয়ে টমি, আমি একটা কথা বলি, শােন্। যা একটা পিচবােডের ভাল রকম বাক্স নিয়ে আয়, তার মধ্যে বেশ করে তুলে দিয়ে ওকে শুইয়ে দে, আর একটা মাইবােতল মুখে দিয়ে, আর তার গায়ে সাবধান এই দিক তুলিয়া ধর’ বলে লেবেল এটে দিয়ে দে ওর মার কাছে পাঠিয়ে দে।” টম হাসিয়া বলিল, “তােমরা যাই বল না আমি ওকে মানুষ করে তুলবই। ওর ভাবভঙ্গীতে এমন একটা কিছু আছে যাতে প্রায়ই মনে হয় ওর মধ্যে কোথাও না কোথাও তেজ আছে, আর জিনিষের মধ্যে ঐ জিনিষটাই ধােপে খেলে তা ৰাই বলিস ভাই ‘ঝােভাে’? তবে ওটা ফুটিয়ে তােলা যায় কি করে সেই হচ্ছে কথা।” •