পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নূতন ছেলে। দিকে আসিল। টম ও তাহার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করিয়া বলিল আমাদের মধ্যে সব চেয়ে ওঁছ। জাত। ভগবানের অনুগ্রহ, কোন বড় ছেলের কখন আমায় পেয়ার করে নি। ইষ্ট বলিল “তুমি সে ধাতের ছেলেও নয়। আমার ইচ্ছা হয় ওকে যাদুঘরে রেখে দিই -খৃষ্টান ভদ্রসন্তান, উনবিংশ শতাব্দি, অতি সুশিক্ষিত। এই লম্বা ঠেঙ্গা দিয়ে খোঁচা দিয়ে দেখ, কেমন মাতাল মাল্লার মত মুখ খাস্ত করে!-তা হলে বা ভব্য সমাজের চোখ ফুটতে পারে।” টম বলিল“তুমি কি মনে কর জোন্সকে বলে দিবে ?” ইষ্ট বলিল, “না। আর দিলেও বড় কেয়ার করিনে।” টম বলিল “আমিও না”। এই বলিয়া তাহার আর্থারের সম্বন্ধে কথা কহিতে লাগিল। | সে ছােকয়ার ঘটে সে টুকু বুদ্ধি ছিল যে জোন্সকে কোন কথা বলা ঠিক নয়। কারণ সে মনে মনে বিচার করিয়াছিল যে ইষ্ট ও ব্রাউন সারা স্কুলের খাটানিয়াদের মধ্যে সবচেয়ে আট-পিঠে ছেলে। তাহারা জোন্সের পিটনির তিন কভারও তােকা রাখে না। উন্টিয়া নিজেদের কথামত উহা সুদসমেত তাহার উপর চালান করিয়া দিবে। ঐরূপ কথাবার্তার পর ইষ্ট অনেক সময় তাহাদের পড়ার ঘরে আসিয়া আর্থারের প্রতি লক্ষ্য রাখিতে লাগিল; এবং অনতিবিলম্বে টমের কাছে স্বীকার করিয়াছিল আর্থার প্রকৃতই ভালছেলে, এক সময়ে হার মুখচোরামি কাটাইয়া উঠিবে। ইহাতে আমাদের নায়ক বির প্রবােধ পাইল। সে এখন দিন দিন বুঝিতে লাগিল যে জীবনে একটা উদ্দেশ্য থাকার মূল্য কি । এমন একটা জিনিষ যাহা তাহাকে নিজের ভিতর হইতে টানিয়া বাহির করিতে পারে। এবং বৎসরের মধ্যে 1 - -