পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। “হাঁ, ঐত তােমার দত, একেবারে বােমাফোটাতে লাগলে” বলিয়া ই ও লাগিয়া গেল ; ইষ্ট সব সময়েই টমের বিরুদ্ধ পক্ষ লইত ; কতকটা জকের খাতিরে কতকটা ধারণার বশে ; “তুমি কি করে জানলে তার মনের ভাব ভাল ছিল না ? কি করে জানলে তার মনিব পালী লােক ছিল? কই তার চিঠি দেখে গ ত বােধ হয় না, আর বইয়ে ও সে কথা বলে না।” টম জবাব দিল “আমি ওসব মানিনা, যদি নামানের মনের ভাব অষ্ট রকমই ছিল, তবে সে মাথা নােনর কথা বলে কেন? সে যখন পয়গম্বরের সঙ্গ ছেড়ে রাজ সভায় ফিরে এল, তখন যে তার নিষ্ঠা আরও বেড়ে যাবে, এত আর সম্ভবপর নয় । আর্থার বলিল “তা বটে, কিন্তু টম দেখাে এলিশা তাকে কি বলেন, বলেন “আচ্ছা শান্তিতে গমন কর।' যদি নামান অনুচিত কিছু করিত, তা হলে এলিশা তাকে এমন কথা বলতেন না।” “না, আমি তা মনে করি না, আমি মনে করি যে ও কথার মানে আর কিছু নয় কেবল এই যে আমি যা ভেবেছিলাম, তুমি সে শােক নও।” | ইষ্ট বলিল “না, না, তা বললে চলবে না। তুমি কথা গুলাে সরল ভাৰে পড়, এবং লােকগুলােকে যেমন পাচ্ছ, সেই ভাবেই তাদের নাও। আমার নামানকে মন্দ লাগে না, কেন বেশ লােক ত*।। | টম দৃঢ়ভাবে বলিল “আমি তা মােটেই শীকার করি না। আর্থার বলিল “কিন্তু আমার মনে হয় ইষ্টের কথাই ঠিক। আমি ও বুঝি না আমি যতটা পারি ততটা ভাল কেন না করা উচিত হবে, বাকি উহা চরম ভাল না হতে পারে। প্রত্যেকেই কিছু সত্যাগী ধর্মবীর হব বলে জন্মায় নি”।