পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. EL

ব্রাউন বংশ। যে যেখান দিয়া রক্তের ধারা গড়াইয়াছিল সেখান দিয়াই পাহাড়ে উঠা সবচেয়ে কিনা সােজা। | রিজওয়ে দিয়া বরাবর মাইল খানেক পশ্চিম মুখে গেলে আমরা চারা বীচ ও ফার গাছের একটি বেড় পাই, নীচে কাটা গাছ ও প্রিভেন্ট নামক গুখের তলী জঙ্গল : এখানে তুমি অধিত্যকাচারী সবল তিতির ও পীউইট পাখীর বাসা দেখিতে পাইবে, কিন্তু সাবধান আগলদার যেন তােমার উপর চড়াও না করে। উহার মাঝখানে একটি পুরাণ মলেক আছে অর্থাৎ একটা প্রকাণ্ড চেপ্টা পাথর, আরও সাত আট খানা খাড়া পাথরের মাথায় চড়ান, প্রবেশের জন্য একটি পথ আছে, তাহার দুই ধারে বড় বড় একানে পাথর খাড়া করিয়া বসান। ইহাই ওয়েল্যাণ্ড স্মিথের গুহা, এখন সাহিত্যপ্রসিদ্ধ স্থান, তবে যে হেতু সুর ওয়ান্টর স্কট উহার উপর তুলিকা স্পর্শ করিয়াছেন, অতএব এতৎসংসৃষ্ট উপাখ্যান সম্বন্ধে তােমাদের কেনিল ওয়ার্থের উপর বরাত দিয়া আমি এইখানেই বিদায় লই। এই যে নিম্নভূমিতে ঘন নিবিড় উপবন দেখিতেছ, মাইলখানেক দূরে, উহা ইনিগাে জোন নির্মিত ফ্ল্যাশডাউন পার্ক নামক ভবনকে ঘিরিয়া আছে। উপবনের মধ্য দিয়া পরিধি হইতে কেন্দ্র পর্যন্ত চারটি প্রশস্ত বীপিকা কাটা হইয়াছে, উহার প্রত্যেকটি গৃহের একদিকে আসিয়া সংলগ্ন হইয়াছে। গৃহ ও উপবন নিরালায় দাঁড়াইয়া আছে, চতুম্পাশ্বের সহিত সৰ্ব্বতােভাবে স্বতন্ত্র, চারিদিকে সবুজ জমির ঢাল বহুদুর পর্যন্ত নামিয়া গিয়াছে, তাহা এই অংশে বৃহৎ বৃহৎ শিলার দ্বারা বিখচিত, মালভূমিতে সমস্ত রহস্য যেন উহাদিগকে ঘিরিয়া রহিয়াছে। যে লর্ড কেভন এখানে আসিয়া নিজের আস্তানা গাড়িয়াছিলেন আমি তাহাকে একজন বিচক্ষণ ব্যক্তি বলিয়াই মনে করি। ৭ । L ৬ ।